করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ বছর আর পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে না ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ। যদিও এর আগে আগামী মাস থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য দ্বীপটিকে উন্মুক্ত করে দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বালি কর্তৃপক্ষ।
এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশটির পর্যটন অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল বহু মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে। এর আগে দেশটির পর্যটন শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গত জুলাই থেকে স্থানীয় পর্যটকদের জন্য বালি খুলে দেয়া হয়।প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক বিভিন্ন দেশ থেকে বালিতে আসে এখানকার নয়ন জুড়ানো সৈকত, বিস্তৃর্ণ ধান ক্ষেত আর মন্দিরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সম্প্রতি বালির গভর্নর ওয়ান কোস্তার জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি এমন যে বিদেশিদের ইন্দোনেশিয়ার আসতে দেয়ার মতো না। ঠিক কতদিন পর বালিতে পর্যটকরা আসতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করা না হলেও বলা হয়েছে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় বিদেশিরা আসতে পারবে না।
জানানো হয়, খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হবে এবং এটা যত্ন ও গুরুত্বসহ করতে হবে। কারণ, এই সিদ্ধান্তের ওর দ্বীপটির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা নির্ভর করছে বলেও জানানো হয়।
তবে, এই সিদ্ধান্তের পরও অনেক হোটেল-রেস্টুরেন্টকে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ, তাদের অনেক কর্মচারী গ্রামে বা অন্য শহরে চলে গেছে ভিন্ন উপায়ে রোজগারের পথ খোলা রাখতে।
সোমবার বালি দ্বীপে ৪ হাজার ৪৭৬ জন আক্রান্ত ও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ইন্দোনেশিয়া জুড়ে করোনায় গতকাল পর্যন্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার জন আক্রান্ত ও ৬ হাজার ৭৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।