নাটাই ঘুড়ির গল্প
নাটাইয়ের আধিপত্য ভালো লাগতো না ঘুড়িটার।
সে চাইতো আকাশে আকাশে
মুক্ত জীবন।
নাটাই চাইতো ঘুড়িটা থাক
অনুকুলে; কারণে অকারণে মানুক বশ্যতা।
এই নিয়ে শুরু হলো দ্বন্দ, যেন বন্ধন
ছিন্ন করতে পারলেই বাঁচে।
যেদিন ছিঁড়লো সুতা, ঘুড়িটা মুখ থুবড়ে
পড়লো নর্দমায়। আর নাটাইয়ের স্থান
লাকড়ি রাখার ঘরে।
তালাকনামায় স্বাক্ষর করে দুতলার সুখি দম্পতিরা
এখন যেন নাটাই ঘুড়ির গল্পটারই প্রতিচ্ছবি।
আমার ভালো লাগা
কোনো কোনো মানুষ এমন হয়-
চোখের দিকে তাকালে যার দেখা যায় মনের অতল
কিছু কিছু পুরুষ এমন হয়-
যেন শ্যামল ঘাসে ছাওয়া কবর শীতল।
একটা দুইটা নারী এতটা লাজুক
যেন ছুঁয়ে দেয়া লজ্জাবতীর পাতা
এতই সরল কারো কারো মুখ-
যেন দিগন্ত বিস্তৃত শালবনের মাথায় মেঘের ছাতা।
কটুকুৎসা উড়িয়ে দেয়ার নির্মল সাহস
কেউ কেউ রাখে
আমার ভালো লাগে সেইসব জন-
কোনো উপমায় বাঁধা যায় না যাকে।
বহুমাত্রিক.কম