তন্ত্রমুক্ত গণতন্ত্রের জন্য
মাথার উপর কাক
ক্রমাগত অলুক্ষণে ডাক
দিচ্ছিল।
কলের নালায় বসে
ঝুনা নারকেলের খোসা আর ঝামা দিয়ে ঘঁষে
একজন পৌঢ়াজননী এঁটো থালাবাটি ধুয়ে
নিচ্ছিল।
সহপাঠীদের সাথে
ছেলে তার চলে গেছে রাজপথে
সকালে।
বাড়াভাত না খেয়ে
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তরিঘরি হাত ধুয়ে
যোগ দিতে স্বৈরাচারি শাসকবিরোধী
মিছিলে।
কুকুরটা বারবার
থেকে থেকে করছিল সকরুণ ডুৎকার
অঙ্গনে।
গণতন্ত্রকে তন্ত্রমুক্ত করবে বলে
মিছিলে গিয়েছিল চনমনে দুরন্ত ছেলে
ফিরে এল লাশ হয়ে মায়ের চোখে জল ঝরাতে
নির্জনে।
আঘাত দিয়েছ কবে
রাত তখন মধ্য; হয়তো বারো বা তেরো
বাইরে কৃত্রিম আলো- জানালা দিলাম খুলে
বাতাসে তোমার গায়ের গন্ধ...! মুগ্ধ আমি
বোধ হয় টব ভরেছে রজনীগন্ধা ফুলে।
একচিলতে হাওয়া অবাধ ঢুকলো ঘরে
পর্দা উঠলো কেঁপে- দখিনা বায়ুর নিঃশ্বাস
যেন তোমার ওড়না ঢাকলো আমার মুখ
তোমার চুলের গোছা, তোমার ঠোঁটের ফিসফাস।
পায়ের আওয়াজ শুনি, হয়তো তুমি এলে
তোমার আগমনী- হয়তো নূপুর বাজে
যা শুনেছি ভুল; শুকনো পাতার মর্মর
বাতাস খেলা করে, এ তোমার নূপুর না যে।
একলা ঘরে আমি আকাশে তারা গুনি
অনেক দূরে তুমি, তুমি যে আমার নও
আঘাত দিয়েছ কবে-চলে গিয়েছ দূর
দুঃখ দিয়েছ যদিও, তবু হৃদয় নিভৃতে রও।
বহুমাত্রিক.কম