ঢাকা : বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিবিষয়ক ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের ওপর আদেশ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি।
সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে গত ২২ নভেম্বর এই দুই অনুচ্ছেদ নিয়ে রিটের আদেশ স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রাখা হয়েছিল।
গত ৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। ওই সময় ইউনুছ আলী বলেন, `আদালতে বলেছি ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে ওই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। `
তিনি আরো বলেন, এ ছাড়াও সংবিধানের ৯৫ (গ) অনুচ্ছেদে আইন তৈরিসাপেক্ষে বিচারপতি নিয়োগের বিধান থাকলেও সংসদে কোনো আইন ছাড়াই দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটিও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদসচিব, স্পিকার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকের নবম বর্ষপূর্তিতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাণীতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, ``সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে। ``
বহুমাত্রিক.কম