সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার হালীর হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপ সহকারি প্রকৌশলী, পিআইসির সভাপতি বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে অবস্থানরত দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও সহকারি পরিচালক সেলিনা আক্তার মনির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের লম্বাবাঁক গ্রামের বাসিন্দা¡ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আকবর হোসেন।
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনায় দুদকের কাছে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস, উপ-সহকারি প্রকৌশলী আলী রেজা, বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, বেহেলী ইউপি সদস্য ও পিআইসির সভাপতি মো. সুফিয়ান, আব্দুল হাসিম, মনু মিয়া, জালাল উদ্দিন, মশিউর রহমান, ইউপি সদস্য রাশিদা বেগম, ইউপি সদস্য অজিত রায়, পিআইসির সদস্য সচিব ইউপি চেয়ারম্যান অসীম তালুকদারের ভাই সসীম তালুকদরকে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ৭টি প্রকল্পে ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরণ ও মেরামতের কাজ ছিল। ওই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ ছিল অর্ধ কোটি টাকার উপরে। কিন্তু পিআইসির সভাপতি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী যোগসাজশে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এতে আরও অভিযোগ করা হয়, প্রকল্পগুলোর কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পগুলোর টাকা আত্মসাৎ করার জন্য বাঁধের মেরামতের কাজ বিলম্বে শুরু করা হয়। যথাসময়ে কাজ না করায় হালীর হাওরের সকল বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। ধান পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সকল কৃষক নিঃস্ব ও দিশেহারা এলাকার কৃষকদের প্রায় দেড়শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও সহকারি পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি জানান, হালীর হাওরের ফসলহানির ঘটনায় অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বহুমাত্রিক.কম