ঢাকা : আরে ওজনের কী হবে? একটি বড় কলা মানে ১২১ ক্যালোরি৷ ১৭ গ্রাম চিনি আছে তাতে৷ হোক না সে প্রাকৃতিক চিনি, ওজন বাড়ানোর ব্যাপারে তো সে বাজারি চিনির মতোই কাজ করবে আর ওজন বাড়লে যে হার্টও আর তত ভাল থাকে না, সে তো এখন ওপেন সিক্রেট৷ তার চেয়ে এত দিন যেমন শোনা গিয়েছিল, কম মিষ্টি ফল খাওয়া ভাল, তেমনই চালিয়ে যাওয়া উচিত, তাই তো?
‘‘তা হলে শুনুন, অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, মারাত্মক ওজন বা ডায়াবিটিস না থাকলে রোজ কলা খাওয়া ভাল৷ কম খরচে এত উপকারি খাবার খুব কমই আছে৷’’।
হার্টের বন্ধু
রক্তচাপ বশে রাখতে, হার্টকে সুস্থ রাখতে দিনে ৪৭০০ মিলিগ্রা পটাশিয়াম খাওয়া উচিত৷ বড় একটি কলায় আছে ৩৫০–৪০০ মিলিগ্রা পটাশিয়াম৷ কাজেই অন্য পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি দিনে একটা করে কলা খাওয়াই যেতে পারে.
বিজ্ঞানীদের মতে, দিনে কম করে ২৫ গ্রাম ফাইবার খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায়৷ নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরল৷ একটি মাঝারি কলা খেলে দৈনিক এই চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়৷
কলায় আছে ভিটামিন বি ৬৷ হার্টের শত্রু হোমোসিস্টিন নামে প্রোটিনের পরিমাণ কমাতে সে সিদ্ধহস্ত৷
একটা মাঝারি কলা খাওয়া মানে দিনে যতটা ভিটামিন সি দরকার তার প্রায় ১৫ শতাংশ পেয়ে যাওয়া৷ ভিটামিন সি–এর অনেক কাজ৷ ত্বক ভাল রাখার পাশাপাশি সে ভাল রাখে হার্টকে৷ আয়রন শোষণে সহায়তা করে কমায় অ্যানিমিয়ার প্রকোপ৷
কলায় উপস্থিত ফেনল নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবে বিভিন্ন ক্রনিক অসুখ, এমনকি, হার্টের অসুখেরও প্রবণতা কমে।
বাড়াবাড়ি ডায়াবিটিস না থাকলে দিনে একটি করে কলা খান৷ হার্ট–শরীর–মন, সব ভাল থাকবে৷ব্যায়ামের আগে বা পরে খেলে দ্বিগুণ তরতাজা হবেন৷
কলা টাটকা খান কি প্যানকেকে মিশিয়ে, উপকার একই৷
কলার পেস্ট বানিয়ে ফ্রিজে জমিয়ে তার উপর টাটকা মধু, আঙুর, কালোজাম দিয়ে বানান আইসক্রিমের পুষ্টিকর বিকল্প৷
দইয়ের পুষ্টি বাড়াতে চিনির বদলে কলা মেশান৷কলা ফ্রিজে রাখুন৷ খোসা কালো হয়ে গেলেও দু’সপ্তাহের মতো টাটকা থাকবে৷
আনন্দবাজার পত্রিকা