ঢাকা : সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশাবাদি যুক্তরাষ্ট্রের এক সৌদি লবিস্ট প্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট পলিসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সৌদি আমেরিকান পাবলিক রিলেশন অ্যাফেয়ার্স কমিটি (এসএপিআরএসসি)’র সভাপতি সালমান আল আনসারি ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিভিন্ন সংস্কারমূলক পরিবর্তন তুলে ধরেন। খবর এএফপি’র।
আল-আনসারি বলেন, ‘তিনি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মতো একটি দেশ যেখানে কোন কিছু পরিবর্তন করতে গেলে জোরালোভাবে বাঁধা দেয়া হয়, সেখানে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। তা সত্ত্বেও ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স লিন্ডন বি জনসনের মতো সামাজিক সংস্কার ও মার্গারেট থ্যাচারের মতো অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্দ্যেগ নিয়েছেন।’ আনসারি বলেন, সৌদি নারীদের ক্ষমতায়নে প্রিন্স মোহাম্মদ কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন (এলবিজে) ব্যাপক সংস্কার, বিশেষত ব্যাপক নাগরিক অধিকার সংস্কারে সমর্থনের জন্য পরিচিত ছিলেন। যুক্তরাজ্যের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তার অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশটির ব্যাপক পরিবর্তন করেন।
আল-আনসারি বলেন, সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে সৌদি আরবে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তিনি বলেন, ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স সৌদি আরবের প্রচলিত রক্ষণশীল মানসিকতার পরিবর্তনে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে একটি গতিশিল অর্থনীতির জন্য নারী ক্ষমতায়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী ধর্মীয় কয়েকটি দল নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যখনই নারীদের অধিকতর অধিকার দেয়ার বিষয়টি আসে তখন সৌদি বুদ্ধিজীবীরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেন।
প্রথমটি হচ্ছে, নারীদের অধিকারের বিষয়টি ধীর গতিতে ও স্বল্প পরিসরে করা উচিত, যাতে করে আকস্মিকভাবে সৌদি সমাজে বড় ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন না ঘটে।
দ্বিতীয় পয়েন্টটি হচ্ছে, এই পরিবর্তনটি অবশ্যই দেশের ভিতরের থেকেই আসতে হবে। বিদেশী কোন শক্তির ইচ্ছায় নয়। আনসারি বলেন, আমি দ্বিতীয় পয়েন্টটির সঙ্গে একমত।