নীলফামারী : সৈয়দপুরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। যানজট নিরসনে কাজ না করে বাড়তি অর্থ আদায়ে জড়িয়ে পড়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
শহরের পাঁচ মাথা মোড়, মদিনা হোটেল মোড়, বাস-টার্মিনাল মোড়ে এ বখড়া আদায়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। বখড়া আদায় শুরু হয় সকাল থেকে চলে রাত পর্যন্ত। বখড়া আদায়ের কাজে নিয়োজিত রয়েছে কিছু লোক। এদের মাধ্যমেই মুলতঃ ট্রাফিক বিভাগ বাড়তি অর্থ আদায় করে থাকে।
সারা দেশে ট্রাফিক বিভাগের রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও এখানে তা থেমে নেই। বর্তমানে ঢাকাগামী বাঁশের ট্রাক থেকে নেয়া হয় ২৫০ টাকা। রাস্তায় চলাচলকারী ট্রাক্টর থেকে ৫০ টাকা, ট্রলি থেকে ৩০ টাকা, ভটভটি থেকে ৫০ টাকা, বাইরের জেলা থেকে আসা গাড়ী থেকে ২০০ টাকা, গরুর ট্রাক থেকে ৩০০ টাকা।
অনেক সময় চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাঁধে ঝগড়া। ফলে টাকা তুলতে গিয়ে রাস্তায় লেগে যায় যানজট। শহরের বাস টার্মিনাল ট্রাফিক মোড়ে গেলে এ সকল দৃশ্য চোখে পড়বে। এখানে দায়িত্বে রয়েছেন ট্রাফিক সার্জন তারেক এবং আরও রয়েছেন ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর ওয়াজ নবী।
অভিযোগ রয়েছে তাদের ইশারায় ওই সকল অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে বাস টার্মিনাল মোড়ে প্রাণ গেছে বেশ কয়েক জন পথচারীর। তাছাড়া পাঁচ মাথা মোড়ে প্রাণ গেছে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের। তারপরেও টনক নড়েনি ট্রাফিক পুলিশের।
বহুমাত্রিক.কম