ঢাকা : পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কগুলিতে সেনা মোতায়েন করার প্রতিবাদে রাতভর নিজের দপ্তরে অবস্থান করেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় হঠাৎ করেই সেনা মোতায়েন হয়েছে, তার অন্যতম হল মমতা ব্যানার্জীর দপ্তর -যেটি রাজ্যের সচিবালয়ও-তার খুব কাছেই।
মমতা ব্যানার্জী বলছেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার স্বার্থেই তিনি রাতভর দপ্তরে অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটে পর্যন্তও তিনি সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে নিজের দপ্তরেই ছিলেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা আর কয়েকজন মন্ত্রীও।
মমতা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তার দপ্তরের কাছ থেকে সেনা সরছে, ততক্ষণ তিনি অফিসেই থাকবেন।
রাজ্য সরকারের সদর দপ্তরের খুব কাছেই - কলকাতা লাগোয়া হাওড়া জেলায় ভাগীরথী নদীর ওপরে একটি মহাসড়কের টোল প্লাজাতে সেনা সদস্যরা সারাদিন অবস্থান করছিলেন।
তবে মমতা ব্যানার্জী রাতে প্রতিবাদের সুর চড়ানোর বেশ কয়েক ঘণ্টা পড়ে ওই জায়গা থেকে সেনাবাহিনী সরে গেছে। তবুও এখন তিনি অফিসেই আছেন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে তারা জাতীয় মহাসড়কগুলিতে চলাচল করা ভারী যানবাহনের ওপরে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে, যেটা সারা দেশেই তারা নিয়মিত চালিয়ে থাকে।
ট্রাক সহ ভারী যানবাহনগুলির আকার, বহনক্ষমতা প্রভৃতির বিস্তারিত তথ্য সেনাবাহিনী যোগাড় করছে বলে এক আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
"কোনও আপদকালীন পরিস্থিতিতে কোন এলাকায় কী ধরণের কত যানবাহন সেনাবাহিনী যোগাড় করতে পারে, সেটা জানার জন্যই এই তথ্যপঞ্জি নিয়মিত তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়া চলে সারা দেশ জুড়ে। এজন্য প্রয়োজনীয় রাজ্য সরকারী অনুমোদনও নেওয়া হয়েছিল। তাদেরই কথামতো এই প্রক্রিয়াটি আমরা কয়েকদিন পিছিয়ে দিয়েছি," জানিয়েছেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক মুখপাত্র।
তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরও সাতটি রাজ্যের মোট ৬৮ টি জায়গায় একইভাবে ভারী যানবাহনের তথ্য যোগাড় করছেন সেনাসদস্যরা।
এই প্রক্রিয়াটি বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এবং শুক্রবারেও তা চলার কথা বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
রাজ্য সরকার, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কর্মকর্তারা সন্ধ্যে থেকেই যেসব বিবৃতি দিতে থাকেন, তাতে বিভ্রান্তি আরও ছড়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা থেকে।
বিবিসি বাংলা