ঢাকা : পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশ নিউজিল্যান্ড। ভ্রমণপিপাসু মানুষদের পছন্দ-তালিকার প্রথম দিকেই থাকে ওশেনিয়া অঞ্চলের এই দেশটি।
কিন্তু, সেই সুন্দরের মাঝেও আছে মৃত্যুফাঁদ। সূর্যের অতিমাত্রায় তাপের কারণে চামড়া পুড়ে প্রতিবছর স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় দেশটির শতশত মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগেই যেন দেশটির আবহাওয়া সর্ম্পকে সঠিক ধারণা নিয়ে নেন ভ্রমণকারীরা।
ছবির মতো সুন্দর দেশ নিউজিল্যান্ড। যেন বিধাতা এই ধরণীতে নিজ হাতে স্বর্গ তৈরি করেছেন। তাই তো প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভ্রমণ পিপাসুর গন্তব্য থাকে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু, এই সুন্দর দেশটির সূর্যের আলোর মধ্যে রয়েছে আলট্রা ভায়োলেট বা অতিবেগুনী রশ্মির অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়া। এই রশ্মির কারণে মানুষের চামড়া পুড়ে স্কিন ক্যান্সার হয়।
বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময় নিউজিল্যান্ডে সূর্যের আলো থাকে একটু বেশি তীব্র। যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূর্যের আলোর ভেতর লুকানো অতিবেগুনি রশ্মি গুপ্তঘাতকের মতোই স্কিন ক্যান্সার আক্রান্ত করে মানুষকে। তাই সূর্যের আলোয় যাওযার আগে দেহে সানস্ত্রিন মেখে নেয়া এক রকম বাধ্যতামূলক সবার জন্য।
স্থানীয় এক গবেষণায় জানা যায়, প্রতিবছর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে দেশটিতে প্রায় ৫০০ মানুষ স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর প্রতিবছর মারা যায় অন্তত ৩০০ জন। গবেষকরা বলছেন, মূলত গ্রীন হাউজ এফেক্টের কারণে নিউজিল্যান্ডে সূর্যকিরণের অতিবেগুনি রশ্মি অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে।
স্থানীয় এক গবেষক বাংলাদেশের মানুষদের আশার কথা শুনিয়েছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশীদের ত্বকে পিগমেন্টের পরিমাণ বেশি হওয়ায় স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম। তবে, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ইউরোপ অঞ্চল।