ঢাকা : জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন অবিলম্বে সিরিয়ার স্কুলে বিমান হামলার ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। বুধবার সিরিয়ার ওই স্কুলে ভয়াবহ হামলাটিতে ২০ জনের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিবের একটি গ্রামে অবস্থিত একটি স্কুল লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করে আরো বলা হয়েছে, আসন্ন শীত মৌসুমে সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেবে।
জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক মানবিক সহায়তা প্রধান জান এগল্যান্ড বলেন, নির্মম এই সংঘাত আরো নিষ্ঠুর হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক লোকের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর থেকে ইদলিবসহ সিরিয়ার ৫টি স্কুল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এগুলো ‘অমানবিক হামলা’।
বৃহস্পতিবার সিরিয়ার জরুরি সহয়তাকারী ও ব্রিটেন-ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, ইদলিবে ওই হামলার ঘটনার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের অধিকাংশই শিশু।
আলেপ্পো থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হাস গ্রামে বোমাটি ফেলা হয়েছে। বিমান হামলার কারণে শিশুরা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাশিয়া বা সিরিয়া এই ঘটনার জন্য দায়ী নয় বলে মস্কোর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, এই অভিযোগটি ভিত্তিহীন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। একটি রুশ ড্রোন বৃহস্পতিবার স্কুলের ছাদটিকে অক্ষত দেখেছে।