Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

সামুদ্রে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৬ মে ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

সামুদ্রে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

ঢাকা : সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও মাছের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ট্রলার দিয়ে সব ধরণের মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাসস’কে জানান, গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকার বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মাছ আহরণের এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ক্রাস্টাশিয়ান্স এর মধ্যে চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিশ ইত্যাদি রয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর সরকার সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় (ইকোনমিক এক্সক্লুসিভ জোন) অর্থাৎ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মাছ শিকারের এই ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মৎস্য সম্পদের টেকসই সংরক্ষণ এবং মৎস্যজীবীদের উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিতের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. গোলজার হোসেন বাসস’কে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকার বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে ৬৫দিন মাছ আহরণের এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পর থেকে এখানে মৎস্য উৎপাদন বা আহরণের পরিমাণ বেড়েছে।

জানতে চাইলে মহাপরিচালক এবিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মৎস্য আহরণের পরিমাণ ছিল ৮৪ হাজার ৮৫৪ মেট্রিক টন, কিন্তু সে বছর সেখানে মৎস্য আহরণে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় ৬৫দিন মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৩৪৮ মে. টনে উন্নীত হয়েছে। আর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ইকোনমিক এক্সক্লুসিভ জোনে মৎস্য আহরণ আরও বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ মে. টনে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ৬৫দিন মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এই এলাকায় বিগত দুই অর্থ বছরে ২৩ হাজার ৬২৬ মে. টন মৎস্য আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, মৎস্য আহরণে নিষেধাঞ্জার আগে ২০১৫ সালে যেখানে মাদার চিংড়ি আহরণের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮১৫টি। আর নিষেধাঞ্জার পরের বছর ২০১৬ সালে মাদার চিংড়ি আহরণের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার ৫৩৭টিতে উন্নীত হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রমজান আলী বাসসকে বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় নিমমিত টহল দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে এবিষয়ে সচেতন করার জন্য ৪টি জাতীয় ও একটি আঞ্চলিক দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে জানিয়ে উপ-পরিচালক আরো বলেন, সকল যান্ত্রিক নৌকা যাতে ২০ মের আগে নোঙর করে, সেজন্য নৌযান মালিক সমিতিকে চিঠি দিয়ে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও এ বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরকে নিশ্চিত করেছে। নিষেধাজ্ঞা যাতে মান্য করা হয় সেজন্য ঊপকূলে স্থানীয়ভাবে মাইকিং, সভা, জনসংযোগ করা হয়েছে বলে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer