Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

সামান্য বৃষ্টিতে সতেজ রুক্ষ চা বাগান

নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আপডেট: ২১:৪৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রিন্ট:

সামান্য বৃষ্টিতে সতেজ রুক্ষ চা বাগান

ছবি : বহুমাত্রিক.কম

মৌলভীবাজার : ‘দু’টি পাতা একটি কুড়ির’ সবুজের সমারোহ চা বাগান দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে রুক্ষ হয়ে উঠছে। কাটছাট আর কলম দেয়ার পর চা বাগানের সেকশনে ইরিগেশন ছাড়াই বাগান যেন রুক্ষ ও মলিন। সোমবার ভোররাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হঠাৎ করে চা বাগানে মৌসুমের প্রথম সামান্য বৃষ্টিতেই ফুরফুরে সতেজ হয়ে উঠছে। চা গাছে নতুন কুঁড়ি গজাতে এই সময়ের বৃষ্টিপাত খুবই উপকারী।

বৃষ্টির কারনে কয়েকদিনের মধ্যেই চা গাছে নতুন কুঁড়ি দেখা যাবে এবং ভালো উৎপাদনের জন্য সহায়ক হবে বলে চা সংশ্লিষ্টর ধারণা করছেন। প্রকৃতির পরিক্রমায় দীর্ঘ সময় পর বছরের প্রথম বৃষ্টিপাতে চা বাগান ছাড়াও মৌসুমী ফল ও কচি গজাতে সহায়ক হবে বলে কৃষি সংশ্লি ষ্টরা আশাবাদী।

সংশ্লিষ্টদের মতে, চায়ের কচি পাতা শেষ হওয়ার পর প্রতি বছর মৌসুমের শেষে সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে নির্দিষ্ট মাপ অনুসারে চা গাছ গুলোর মাথা ছেটে ফেলা হয়। চা গাছের মাথা ছেটে ফেলার পর সেচের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন চা বাগান লেক কিংবা নদী, ছড়া ও জলাধার থেকে পাইপযোগে চারা গাছ ও সেকশন সমুহে সেচ প্রদান করা হয়। আর সময় মতো বৃষ্টিপাত হলে সেটি চা গাছের জন্য খুবই উপকার বয়ে আনে। চা বাগানে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন দেখা দেয়।

যথাসময়ে বৃষ্টিপাত না হলে কিংবা অতিবৃষ্টি হলে চায়ের উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। গত বছর অতিবৃষ্টিজনিত কারনে চায়ের উৎপাদনে কিছুটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়। তবে দীর্ঘ তিন মাস পর সোমবার ভোরে বৃষ্টিপাতের ফলে কমলগঞ্জ সহ সিলেট বিভাগের চা বাগানে গাছে গাছে স্বস্তি দেখা গেছে।

ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) এর একজন ব্যবস্থাপক জানান, গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে। আর এবছরও তিনদিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি গজাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ সময়ে বৃষ্টিপাত না হলে ছেটে দেওয়া চা বাগানে রুক্ষ অবস্থা দেখা যেতো। তবে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের কারনে আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত আর সেচ দিতে হবে না, তাই আমরা স্বস্তি বোধ করছি।

মৌলভীবাজারের মাধবপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক বিদ্যুৎ কুমার রায় বলেন, এই সময়ে সাধারণত ইরিগেশনের ব্যবস্থা থাকে। তবে সোমবার প্রথম বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেছে, এখন কয়েকদিন ইরিগেশন না করলেও চলবে। এটি নিয়মিত থাকলে ভালো উৎপাদনের জন্য সহায়ক হবে। শমশেরনগর আইমা এন্ড শ্রাবনী এগ্রো ফার্মের পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, এই বৃষ্টিপাত চা বাগান সহ আম, কাঁঠাল, আনারসসহ মৌসুমী ফলের জন্য খুবই কাজে আসবে।

শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক হারুনুর রশীদ বলেন, সোমবার ভোর রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মৌলভীবাজারে ১৯ মি. মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) এর ধলই ভ্যালির ডিজিএম মোঃ শাহজাহান বলেন, এই সময়ের বৃষ্টিপাতে চা গাছের জন্য খুবই উপকার বয়ে আনছে। বৃষ্টির ফলে নতুন কুঁড়ি গজাতে ও দ্রুত উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer