Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ বললেন ভাইস চেয়ারম্যান

আবদুল ওহাব, বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৩:০৭, ১২ অক্টোবর ২০১৭

আপডেট: ০৩:১২, ১২ অক্টোবর ২০১৭

প্রিন্ট:

সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ বললেন ভাইস চেয়ারম্যান

বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই প্রকল্পের অর্থ হরিলুট করার সংবাদ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত করলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ জাহেরুল ইসলাম। আর এমন দায়িত্ব জ্ঞ্যানহীন মন্তব্য করায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই।

বুধবার উপজেলার আইন শৃংখলা কমিটির সভায় ভাইস চেয়ারম্যান জাহেরুল ইসলাম দুর্নীতির প্রতিবেদনটির প্রতিক্রিয়ায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ভাইস চেয়ারম্যান জাহেরুল ইসলাম সম্পর্কে জানাযায়, গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে উপজেলার দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণে অর্থের বিনিময়ে তালিকায় নাম অর্ন্ভুক্তি করার অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় ঐ ভাইস চেয়ারম্যানের সেলাই মেশিন বিতরন বন্ধ করে দেন ততকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাফিউল ইসলাম।

দুর্নীতিগ্রস্ত ওই ভাইস চেয়ারম্যান আবারও দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাইলেন এবং সাংবাদিক সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করলেন। এছাড়াও এলাকায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা সমালোচনা।

প্রকাশিত দুর্নীতির ঐ সংবাদে উল্লেখ করা হয়, এডিপি অর্থায়নে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শাজাহানপুর উপজেলার মাদল্ ইউনিয়নের দাসপাড়া বারোয়ারী মন্দিরের সামনে ৫০০০০ টাকা ব্যায়ে রাস্তায় ইট বিছানো প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সেখানে কোন কাজই করা হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফনি জানান, প্রকল্প করা হয়নি। সম্ভবতঃ টাকাগুলো ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মাদলা ইউনিয়নের দড়িনন্দ গ্রামের ডাক্তার বাড়ী হতে বিএনপি স্কুল পর্যন্ত রাস্তায় ইট বিছানো প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি স্কুল নামে কোন স্কুলও নাই, প্রকল্পও নাই। এছাড়া নন্দগ্রাম মসজিদ সংলগ্ন হাফিজারের বাড়ীর নিকট ৮০ হাজার টাকা ব্যায়ে প্যালাসাইডিং নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়। সরেজমিনে দেখাযায় সেখানে কোন কাজই করা হয়নি।

এমতাবস্থায় উপজেলা উপ-সহকারী প্রকেশালী ওই এলাকায় গেলে প্রকল্প না দেখাতে পারায় স্থানীয় মাদলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল বারিক মন্ডল ও দলীয় নেতাকর্মী সহ জনতার তোপের মুখে পড়েন ওই প্রকৌশলী। পড়ে তিনি চলে আসতে বাধ্য হন।

আর প্রকল্পের বিষয়ে মোবাইল ফোনে ঠিকাদার, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিনে দেখে বিলে স্বাক্ষর করেছেন। সুতরাং এবিষয়ে বলার কিছু নাই।

এদিকে শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেনের নিকট প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুটের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবগুলো প্রকল্প দেখা সম্ভব হয়নি। দেখে পরে বলা যাবে।

এভাবে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঠিকাদার, প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে অর্থ হরিলুট করা হয়েছে। আর এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় আলেড়ন সৃষ্টি করলে দুর্নীতির অভিযোগ এড়াতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহেরুল ইসলাম উপরোক্ত মন্তব্য করেন

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer