ঢাকা : জিয়া শিশু পার্কের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা উন্নয়নের নমুনা হতে পারে না। আজকে যে উন্নয়নশীল দেশের কথা বলছেন। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে নিম্নহারে সুদ দিত। এখন বাজার দরে সুদ নিতে হবে। অর্থাৎ বাজারে প্রতিযোগিতা করে লোণ নিতে হবে। আমাদের স্ট্যাটাস অনুযায়ী বিনা শুল্কে প্রবেশ অধিকার ছিল ইইউতে। সেটাও হাতছাড়া হয়ে যাবে। আর আমেরিকায় তো বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সব মিলিয়ে উন্নয়নের পরিস্থিতি ভয়ংকর। এই মুহূর্তে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বৈষম্য বেশি বাংলাদেশে। অর্থাৎ গরীব ভয়ংকর ভাবে গরীব হচ্ছে। বড় লোক বড় লোক হচ্ছে। এটা উন্নয়নের নমুনা।
তিনি আরও বলেন, `প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে জনগণকে চমক দেখানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাড় কঙ্কালসার এক যুবতীকে মেকআপ দিয়ে তাকে দেখালে যে অবস্থা হয় ঠিক সেই অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতির। এই দেশের গণতন্ত্রের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করছে। সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।`
রিজভী বলেন, `সরকারের আজকের কর্মসূচী এক বিকৃত তামাশা। গোটা ঢাকা শহরের রাস্তা ঘাট অচল হয়ে গেছে। জনগণ হয়ে গেছে সম্পূর্ণ স্তব্ধ। ঘন্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় আটকা পরে আছে। সরকার বলছে জনদূর্ভোগ তৈরি হয় এমন কোন কোন কর্মসূচী করতে দেয়া হবে না। অথচ উলটো সরকারই জনদূর্ভোগ তৈরি করছে। সত্যি আমরা আজব দেশে বাস করছি। শামসুর রহমানের একটা কবিতা মনে পরে যায় আজব দেশের ধন্য রাজা দেশ জোড়া তার নাম। বসলে বলে হাঁটরে তোরা। হাঁটলে বলে থাম থাম থাম। এই হলো পরিস্থিতি।`
এ সময় তিনি আরও বলেন, `যতই ষড়যন্ত্র চলুক না কেন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোন নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। যদি কোন ষড়যন্ত্র করেন এই দেশের জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে প্রতিরোধ করবে।`
রিজভী বলেন, `এই দেশের কোমলমতি শিশুদের জন্যে যে শিশু পার্ক করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এটি করে সারা দেশের মানুষের কাছে তিনি অভিনন্দিত হয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই তার প্রতিষ্ঠাতাকে মুছে ফেলা হচ্ছে।`
বহুমাত্রিক.কম