ছবি-পিআইডি
ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার চেয়ে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বেশি জরুরি। মালিক যখন সম্পাদক হয় তখন সাংবাদিকতা আর সাংবাদিকতা থাকে না। তাই সাংবাদিকদের স্বাধীনতাই বেশি প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশ গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। স্বাধীনতা যদি না থাকত, তাহলে পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও টক শোতে কীভাবে এত লেখা ও সমালোচনা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা আছে। তাদের সেই নীতিমালা মেনে চলতে হবে। শুধু স্বাধীনতা ভোগ করলেই চলবে না, তাদেরও দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণমাধ্যমে এখন অনলাইনের সংখ্যাই বেশি। কাগজের পাঠক পড়ে যাচ্ছে। তারপরও আমাদের যাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, সকালে পত্রিকা হাতে না পেলে মনটাই খারাপ হয়ে। এককাপ চা, আর পত্রিকা সকালের রুটিন হয়ে গেছে। আর এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো ল্যাপটপ খুলে বসে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান।
মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সমকাল সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি গোলাম সারওয়ার এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
জাতীয় প্রেসক্লাবের পুরনো ছোট ভবনটি ভেঙে নতুন ওই ৩১ তলাবিশিষ্ট ভবন করা হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এ ভবনটিতে বড় বড় কনফারেন্স হল, ডরমেটরি, সুইমিংপুল, সেমিনার কক্ষ, সিনেপ্লেক্স, মিডিয়া মিউজিয়াম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, মিডিয়া হাউস, আইটি সেল, সবুজ বাগান, বিদেশি মিডিয়া অফিস, আবাসিক হোটেল, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন ও সাংবাদিক লাউঞ্জসহ থাকবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। ভবনের ছাদে থাকবে অত্যাধুনিক হ্যালিপ্যাড।
বহুমাত্রিক.কম