Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৬ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

শেখ হাসিনার জন্মদিন হোক ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ দিবস

ড. মো. হুমায়ুন কবীর

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

শেখ হাসিনার জন্মদিন হোক ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ দিবস

-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা। তিনি ছিলেন জাতির জনক এবং বাঙালি জাতির স্রষ্টা। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই তাঁর যেমন অন্য অনেকের চেয়ে দেশের জন্য মমত্ববোধ বেশি, ঠিক তেমনি তাঁর কাছ থেকেও দেশের এবং দেশের মানুষের অনেক কিছুই দাবী করতেই পারে। কিন্তু বিশেষত্ব হলো এই, শেখ হাসিনা হলেন এমন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক যার কাছে কারো কোন কিছুই চাইতেই হয় না। বরং চাওয়ার আগেই তিনি অনেক বেশি দিয়ে দিতে অভ্যস্ত। তিনি দিনরাত দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তবে এ সময়ে এসে আমরা বলতে পারি তাঁর এসব পরিশ্রম বিফলে যায়নি। তিনি শুধু নিজেকে নয় দেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসণে অধিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন।


তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু যেমন তাঁর নেতৃত্ব গুণের জন্য উপমহাদেশের প-িত রাজনীতিক জওহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ বসু প্রমুখ নেতাদের কাতারে চলে গিয়েছিলেন। আবার তাঁর সমসাময়িক ইন্ধিরা গান্ধী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। অপরদিকে আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর সমসাময়িক সুকর্নো, সুহার্তো, জোসেফ মার্শাল টিটো, ফিদেল কেস্ট্রো প্রমুখ নেতাদের থেকেও কোনভাবেই পিছিয়ে ছিলেন না। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়কই নন, তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ অধ্যুষিত দেশ প্রভৃতিসহ আরো অনেক নেগেটিভ তকমা ও অপপ্রচার থেকে মুক্ত করে ক্লিন ইমেজ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

অথচ এক দিনে কিংবা হঠাৎ করে সেই বঙ্গবন্ধুর আদরের ‘হাসু’ আজকের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হয়ে উঠেন নি। তিনিও তাঁর বাবার মতো হাটি হাটি পা পা করে বাবার কাছ থেকে ছোট বেলা থেকেই রাজনীতি শিখে শিখে আজ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শেখ হাসিনা কিংবা তাঁর পরিবারকে এখন আর নতুনকরে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তারপরও প্রসঙ্গ আসলেই কিছু কিছু বিষয় দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন এবং ৭১তম জন্ম বার্ষিকী। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আমরা আগেই সবাই জানি তাঁর বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাতা হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনভাই ও দুবোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়। বাবা তাঁকে আদর করে হাসু বলে ডাকতেন।

তিনি তাঁর বাল্যশিক্ষা শুরু করেন নিজ গ্রামেই অর্থাৎ টুঙ্গিপাড়া। এরপর তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকায় চলে আসেন। সেখানে এসে ১৯৫৬ সালে টিকাটুলিতে নারী শিক্ষামন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে প্রথমে ভর্তি হন। পরে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৬৫ সালে সেখান থেকেই কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। অতঃপর গভর্নমেন্ট ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ বর্তমানে যা বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ১৯৬৭ সালে। সেবছরই বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাঁর ছেলে সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং মেয়ে সন্তান সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট যাঁরা নিজ নিজ পেশায় একেকজন আইকন।

তাঁর রাজনৈতিক গুণের পরিস্ফুটনের বিষয়টি বাবার মতো বাল্যকাল হতেই জানান দিয়েছিলেন তিনি। স্কুলের ছাত্রী থাকা অবস্থায় ১৯৬২ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ এবং ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি বদরুন্নেসা কলেজে পড়ার সময় সেখানকার ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়াকালীন সময়ে বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তাছাড়াও সদা হাস্যোজ্জল, সাদালাপী ও বন্ধুবৎসল এ মহিয়সী নেত্রী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে সেগুলোকে প্রয়োজনে স্বৈরাচার ও সামরিক শাসন বিরোধী কর্মকা-ে পরিচালিত করতেন সবসময়।

তারপর ১৯৭৫ সালে আগস্ট ট্র্যাজেডির কথা আমরা সবাই জানি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় স্বামীর গবেষণার কাজে জার্মানিতে থাকার কারণে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। এরপর প্রায় ছয়বছর তাঁকে দেশের মাটিতে আসতে না দেওয়া ছিল তাঁর প্রতি আরেকটি অবিচার। তাঁকেও হত্যা করার জন্য যখন দেশ-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা তৎপর ছিল সেই মৃত্যুভয়কে তোয়াক্কা না করে এক সাহসী সিদ্ধান্তে ১৯৮১ সালে ১৭ মে তারিখে তিনি আবার বঙ্গবন্ধুর এ সোনার বাংলায় প্রত্যাবর্তন করেন। তারপর খুনিচক্র বসে থাকেনি। বাংলাদেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সেই ফারুক-রশীদ চক্র থেকে শুরু করে মুফতি হান্নানের দল এ পর্যন্ত একুশবার তাঁর জীবন নাশের চেষ্টা করেছে। তবে জাতি হিসেবে আমাদের সৌভাগ্য যে দেশের মানুষের ভালোবাসায় তিনি এখনো আমাদের সেবায় নিরলসভাবে নিবেদিত।

তিনি আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে এখন তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথমবার ২৩ জুন ১৯৯৬, দ্বিতীয়বার ৬ জানুয়ারি ২০০৯ এবং তৃতীয় বার ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারিতে সরকার গঠন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামীলীগ। এসময়ে অনেক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, অনেক কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং আগামীর উন্নয়ন পরিকল্পনায় রয়েছে আরো অনেক কাজ। তাঁর ভাবনায় শুধু দেশ আর দেশ, মানুষ আর মানুষ। তিনি নিজের জন্য কখনো চিন্তা করেন না। আমাদের সৌভাগ্য যে তাঁর মতো এমন একজন নেতা আমরা আমাদের দেশের জন্য পেয়েছি।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ, প্রথমবারের মতো দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মোবাইল প্রযুক্তির বাজার উন্মুক্ত করণ, বেসরকারিখাতে টেলিভিশন চ্যানেল অপারেট করার অনুমতি প্রদান, সার্টিফিকেটে পিতার সাথে মাতার নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামীদের রায় কার্যকর করা, যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করা, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা অর্জন, সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, তথ্য অধিকার-২০০৯, শিশু আইন-২০১৩, ভোক্তা অধিকার আইন-২০১০, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, জঙ্গিবাদ দমন, রাজধানীর যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণ, শিল্পায়নের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, যোগাযোগ খাতে বহুমুখী উন্নয়ন সাধন, ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি, নিন্মমধ্যবিত্ত দেশের স্বীকৃতিসহ নানা কল্যাণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে ধারাবাহিকভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার।

এরসাথে আরো রয়েছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, একাধিকবার সরকারি চাকুরেদের জন্য জাতীয় পে-স্কেল প্রদান, জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, দারিদ্রতার হার নিন্ম পর্যায়ে নিয়ে আসা, যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার, বয়স্কভাতা প্রদান, বিনামূল্যে এককোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ছুটির সময় বৃদ্ধি, বিধবা ভাতা পদান, কমিউনিটি ক্লিনিেিকর মাধ্যমে স্বা¯্য’ সেবা প্রদান, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, গরীব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিভাতা বৃদ্ধিকরণসহ বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকেও ভাতার আওতায় নিয়ে আসা, প্রতিটি ইউনিয়েনে ডিজিটাল তথ্য সেবাকেন্দ্র স্থাপন, বিভিন্ন স্থানে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটা প্রথা চালুকরণ।

তাছাড়াও রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায় শিল্পপার্ক স্থাপন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাকরণ, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার, মোবাইল ও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, আকাশে বঙ্গবন্ধুর নামে স্যাটেলাইট স্থাপন, দুইটি ধাপে উন্নত প্রযুক্তি ইন্টারনেট সেবা পেতে সাবমেরিন কেবল স্থাপন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প গ্রহণ, ন্যাশনাল সার্ভিসহ বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষিতে সফলতা, জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে সফলতা, এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, রামপাল কয়লাভিত্তিক ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এগিয়ে নেওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন, সারাদেশব্যাপী বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নসহ এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো এ স্বল্প পরিসরে কোন অবস্থাতেই ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না।

তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবতার দৃষ্টান্ত মাদার তেরেসা এবং বিশ্বনেতৃত্বে এঞ্জেলা মারকেল, নেলসন ম্যান্ডেলা এমনকি একজন মাহাথির মোহাম্মদ হয়ে উঠছেন দিনে দিনে। কারণ বাংলাদেশকে যদি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয় তবে তার পুরো কৃতিত্বই শেখ হাসিনার। তিনি শুধু বাংলাদেশকে নয় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্বকেও। যেমন একদিকে তিনি উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতা অপরদিকে পরিবেশ বিষয়টিকে বিশ্ববাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। এর স্বীকৃতি হিসিবে তিনি ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা কর্তৃক চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি যে মানবিক শেখ হাসিনা তা আবার প্রমাণ করলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে। যেখানে ভারত ও চীনের মতো প্রতিবেশীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেখানে শেখ হাসিনা তাদের গ্রহণ করে বিরাট মানবিক উদারতার পরিচয় দিয়েছেন যা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

শুধু তাই নয় শত প্রতিকুলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি এ রোহিঙ্গা শরণার্থীদেও বিষয়ে জাতিসংঘের ৭২তম পুরো অধিবেশনজুড়েই তাদেরকে নিয়ে কথা বলেছেন। আর সেজন্যই এখন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মনোনয়নেও শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সবার উপরে তিনি জনগণের নেতা। তিনি কোন পুরস্কার ও স্বীকৃতির জন্য কাজ করেন না। তিনি ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে যে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে গেছেন তা আজ সত্যিকার অর্থেই সফলতার মুখ দেখছে তাঁর হাত ধরেই। আর সেজন্যই আজ কথা উঠেছে জনগণের নেত্রীর জন্মদিন পালন করা হোক ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ দিবস হিসেবে। আর তাঁর দল আওয়ামীলীগ থেকে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে শেখ হাসিনার জন্মদিন আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন না করে সেই অর্থ রোহিঙ্গাসহ বন্যাদুর্গতদের মাঝে খরচ করার জন্য। এটাইতো আসলে শেখ হাসিনার মানবতার দৃষ্টান্ত। আজকে তাঁর জন্মদিনে তাই তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

email: [email protected] 

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer