ঢাকা : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনাল ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষেও (ক্যাব) সদর দপ্তরে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাবের পক্ষে এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহের পক্ষে জাপানের ইন্টারন্যাশনাল কনসাল্টিং অপারেশন নিপ্পন কোই লিমিটেডের একটিং ভাইস চেয়ারম্যান হাংহিকো কানাই, জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান জুন ইয়েমুচি, সিঙ্গাপুরের সিপিজি কনসালটেন্টস লি. এর এস্কিকিউ্টভি ভাইস প্রেসিডেন্ট রোহানি বিনতে বাহারান এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেডের একেএম রফিকুদ্দিন স্বাক্ষর করেন।
এ প্রকল্পে অর্থায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। আগামী বছরের এপ্রিলে কাজ শুরু হবে।
প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে তের হাজার ছয়শত দশকোটি ছেচল্লিশ লাখ পঁচাশি হাজার টাকা। ২০১৯ এর ডিসেম্বরে প্রকল্পের সফট ওপেনিং এবং ২০২১ সালের এপ্রিলে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, হযরত শাহজালাল বিমাবন্দরের যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে আট মিলিয়ন এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ২ লাখ টন। বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি ইতোমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে প্রতিনিয়ত কার্গো জট সৃষ্টি হচ্ছে এবং ২০১৮ সালে যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটিও ফুরিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তাই সময়ের পরিবর্তিত চাহিদানুসারে বিমান বন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প শেষ হলে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা ২০ মিলিয়ন এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে ৫ লাখ টনে উন্নীত হবে।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও চুক্তি স্বাস্করকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।