ঢাকা : বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার।
বরেণ্য এই শিল্পী ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯১৪ সালে ব্রহ্মপুত্রের তীরে অবস্থিত ময়মনসিংহ জেলায় তার জন্ম হয়।
জয়নুল আবেদিনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন।
বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসস`কে জানান, জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামি সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় অনুষদের লেকচার থিয়েটারে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে বক্তৃতা করবেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বুলবন ওসমান ও বিশিষ্ট জয়নুল গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক।
গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, মানুষের দুর্দশা, কষ্ট ও সংগ্রামই ছিল জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের প্রধান উপজীব্য বিষয়।
তিনি এঁকেছেন ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র।
শিল্পীর কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বিপুল প্রশংসা ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি ‘শিল্পাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত হন।
তাঁরই উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ) প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পাচার্য জয়নুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প
জাদুঘর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ময়মনসিংহে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা গ্যালারি।