ছবি: বহুমাত্রিক.কম
ঢাকা : ‘আমাকে নিয়ে অনেক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। আমার কিছুই হয় নাই। আপনেরা লেখালেখি করলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে। সে জায়গা বন্ধ করেই বালু ব্যবসা করি। উপজেলা প্রশাসন আমাদের কিছুই করবে না।’
দম্ভের সঙ্গে এসব কথা বলছিলেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাসনা এলাকায় বংশী নদীতে বালু উত্তোলনকারী বাদশা মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী।
বাদশার মতোই বংশীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে তৎপর সাবেক মেম্বার মেছের আলী, সামছুল আলম, ফরিদ আলমসহ বিশাল চক্র। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে
তারা অবাধে বালু উত্তোলন করে চলছেন।
এদিকে, বালু উত্তোলনে নদী ও পরিবেশ বিপন্ন হতে চললেও নির্বিকার রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে-অবৈধ এ বালু ব্যবসার সঙ্গে ওই চক্রটির রয়েছে গোপন আঁতাত।
বালু উত্তোলনকারী বাদশা মিয়ার কাছে এর বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। আমার কিছুই হয় নাই। আপনেরা লেখালেখি করলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে। সে জায়গা বন্ধ করেই বালু ব্যবসা করি। উপজেলা প্রশাসন আমাদের কিছুই করবে না। আমরা ম্যানেজ কইরাই চলি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় তো ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যেমন কুশুরা, বালিয়া, বাস্তা, বনেরচর ,আমছিমুর, গাাঁওতারা, যাদপুর। শুধু আমরাই কি বালু উত্তোলন করি?’
এব্যপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রত্যয় হাসান বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি না। আপনি লিখিত দরখাস্ত দেন-দেখি কি ব্যবস্থা নিতে পারি।’
এ প্রসঙ্গে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাহিদুজ্জান আহম্মেদ বলেন, ‘বালু উত্তোলন অবৈধ। এব্যাপারে এসিল্যান্ড ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
বহুমাত্রিক.কম