ঢাকা : নীরবতা ভেঙে অবশেষে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাল সৌদি আরব। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বর্বরতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য দেড় কোটি ডলার বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
কিং সালমান সেন্টার ফর রিলিফ অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কের তত্ত্বাবধায়ক ড. আবদুল্লাহ আল-রাবিয়াহ সংবাদ মাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে যুক্তরাষ্ট্র-আরব সম্পর্কবিষয়ক জাতীয় পরিষদ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সমন্বয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর আবদুল্লাহ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন,‘আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাদশাহ সালমান সেন্টারের বিশেষ প্রতিনিধিদের একটি দল বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। তারা সেখানকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা পর্যালোচনা করবে। এ মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে তাদের কী প্রয়োজন এবং ত্রাণ, মানবিক সহায়তা ও আশ্রয়ের সাপেক্ষে সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে কী করা যায়, তা খতিয়ে দেখবে’।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সৌদি আরবের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলমান বর্বরতা বন্ধ করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সৌদি আরব।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, তাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অপরাধ ও তাণ্ডবের মাধ্যমে বহু গ্রাম ও বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরতম ও রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসের নমুনা।
মন্ত্রিপরিষদ জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়টি তুলে ধরেছে সৌদি আরব। দেশটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাঁচ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীনতার পর থেকেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে দেশটি।
বৈঠকের বিষয়ে সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ আল-আওয়াদ সৌদি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সৌদি আরব যেকোনো সন্ত্রাসের নিন্দা জানায় এবং আক্রান্ত দেশগুলোর পাশে থাকবে।