নীলফামারী : জেলার সদরে চৌরঙ্গীর মোড় থেকে উকিলের মোড় পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার
জন্য বাড়ি, দোকান ও দেয়াল ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তবে পৌরসভার মেয়র জানিয়েছেন, জনগণের চলাচলের সুবিধা করতেই এই রাস্তা প্রসস্ত করা হচ্ছে।
রাস্তা প্রসস্তকরণের অভিযান উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, কমিশনার কলিমউদ্দিন, জলিল, বাদশা, ইঞ্জিনিয়ার দুদু মিয়া, পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
সরেজমিন দেখা গেছে, এই রাস্তা দিয়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেমন-সরকারি হাসপাতাল, সরকারি কলেজ,
সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেডিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রী, লোকজন ও যানবাহন চলাচল করে এবং রাস্তা পাশ দিয়ে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন-তিস্তা ক্লিনিক, ম্যাটস ক্রিয়েটিভ ও অন্যান্য দাতব্য প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। ছোট রাস্তায় জনগণ, যানবাহন চলাচল দুর্বিষহ
হয়ে পড়েছেl
অভিযান সম্পর্কে মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ বলেন, ‘নীলফামারীর প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে এবং মেডিকেলের রোগীদের আনা নেওয়া খুবই সমস্যা হয়।তাই আমাদের এই পদক্ষেপ নেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তাটা বর্তমান ১০ ফুট চওড়া আছে। আমরা এটাকে ২৩-২৪ ফুট এ রূপান্তর করব।’
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের কাছে এই রাস্তা প্রসস্তকরণ পীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাদের বাড়ি, দোকান ভাংগা পড়ছে। তবে রাস্তা প্রসস্তকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্বীকার করেন অনেকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাস্তাটা বড় করা খুব ভালই হছে, ছোট রাস্তা দিয়া যাওয়া হামার ভয় করে ভাই। মুই অনেক খুশি হছু।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোন ডেলিভারি রোগী এই রাস্তা দিয়া হাসপাতালোত আইসে ওর আর যাবার লাগে না রাস্তাতেই প্রসব হয়ে যাবে যে কন্ডিশন রাস্তার।’
যাদের বাড়ি, দোকান, দেয়াল ভাংচুরের মাঝে পড়েছে-তাদের অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন l বাড়ি ও দোকানের মালিক কামাল হোসেন ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘তারা এটা ক্ষমতার জোরে করতেছে। এটা নির্যাতন চালাচ্ছে আমাদের উপর।’
এদিকে পৌরসভার কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন আগে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মাইকে বলে দেওয়া হয়েছে স্থাপনা সরিয়ে নিতে। ক্ষতির মুখে পড়া বাসিন্দাদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা-এবিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি ওই পৌর কর্মকর্তা।
বহুমাত্রিক.কম