ছবি: বহুমাত্রিক.কম
রাঙ্গামাটি : বন উজাড় ও বনের অবক্ষয়ের কারণ অনুসন্ধান বিষয়ক আঞ্চলিক পর্যায়ের স্থানীয় পরামর্শ বিষয়ক দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার রাঙ্গামাটিস্থ পর্যটন কর্পোরেশন কমপেক্সে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ ইউনুছ আলী কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
রাঙ্গামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সামসূল আযমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায়, বনবিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়া, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় এইএন রেড বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোগ্রাম এবং বন উজাড় ও অবক্ষয়ের কারণ নিরুপন বিষয়ক গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোঃ জসিম উদ্দিন।
কর্মশলায় জানানো হয় তৃণমূল পর্যায়ের জনগনের মতামতের প্রেক্ষিতে বন উজাড়ের কারণ নিরুপন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বন্ঞ্চাল রক্ষা, নতুন বনাঞ্চল সৃষ্ঠির বিভিন্ন বিষয়ে পরাশর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৬ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু করবে বন বিভাগ। এর জন্য এইসব বনাঞ্চলে বসবাসরত কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বরং তাদের কে সহযোগী করে এইসব সামাজিক বনাঞ্চল সৃষ্ঠি করা হবে।
কর্মশালায় জানানো হয় ইউএন -রেড বাংলাদেশে ন্যাশনাল প্রোগ্রামের আওতায় ৩ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের কাজ আগামী ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সম্পন্ন হবে। এর জন্য ব্যয় করা হচ্ছে ৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা । ইউএনডিপি এবং ফাও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান করছেন। বন উজাড় ও বনের অবক্ষয়ের ফলে সৃষ্ঠ কার্বন হ্রাস করণ এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
ইন এন-রেড বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোগ্রামের আওতায় বন বিভাগ আয়োজিত আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালায় রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, হেডম্যান, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
বহুমাত্রিক.কম