Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে পাক প্রধানমন্ত্রীর পোশাক খুলে তল্লাশি

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২৭, ৩০ মার্চ ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরে পাক প্রধানমন্ত্রীর পোশাক খুলে তল্লাশি

ঢাকা : সাধারণ জনতার মতো পোশাক খুলিয়ে পরীক্ষা করা হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসিকে। তিনি যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর কূটনৈতিক রক্ষাকবচ রয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আমলই দেননি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা।

পাক প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সফরসঙ্গী ও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের প্রত্যেককেই পোশাক খুলিয়ে আপাদমস্তক সিকিউরিটি চেকিং করা হয়। নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে গত সপ্তাহের ঘটনায় পাক প্রধানমন্ত্রী প্রথমে অবাক হন তবে তিনি বাধা দেননি।

মার্কিন অফিসাররা প্রোটোকল ভাঙলেও পাক প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ‘বাধ্য ছেলে’র মতো তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আমেরিকার মুন্ডুপাত করেছে। মার্কিন প্রশাসনের ভদ্রতা এবং সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাক সরকার। পাক সরকার ঘটনার নিন্দা করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এতেও কান দেয়নি ওয়াশিংটন।

ঘটনাটিকে রুটিন তল্লাশি এবং স্বাভাবিক ঘটনা বলেছে আমেরিকা। ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট থাকলেও পাক প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় জেনেই তাঁকে এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের তল্লাশি করা হয়েছে। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই ভিভিআইপিদের জন্যও নিয়ম শিথিল করা হয় না। নিউ ইয়র্কে নিজের অসুস্থ বোনকে দেখতে ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চ্যানেলে ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকের পর ব্যাগ এবং কোট নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন আব্বাসি। তিনি একটি মেরুন গোল গলা টি শার্ট ও থ্রি কোয়ার্টার বারমুডা পরে পোশাক বদল করছেন। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় ওই পোশাকের উপরেই শার্ট, ট্রাউজার এবং কোট চাপিয়ে নিচ্ছেন। এই ঘটনাকে জাতীয় লজ্জা বলে ব্যাখ্যা করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলি।

পাকিস্তানের দাবি, এর আগে নওয়াজ শরিফ বা পারভেজ মুশারফের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেনি। ২০১৭ সালের আগস্টে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আব্বাসি। মার্কিন মিডিয়ার খবর, সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভদ্রভাবে দু’কথা শুনিয়ে দেন পেন্স। পেন্স বলেন, পাকিস্তানের জঙ্গি দমন পারফরম্যান্সে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় আমেরিকা।

আমেরিকার দাবি ও কথাকে গুরুত্বই দিচ্ছে না ইসলামাবাদ। এরকমটা চলতে পারে না। পেন্সের এই মন্তব্যের সমালোচনা করার পাশাপাশি মার্কিন সফরে আব্বাসিকে চরম অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এক পাক সাংবাদিককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে তিনি হেনস্তার শিকার হয়েছেন। সে জন্য তাঁর লজ্জা হওয়া উচিত। তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কাছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer