যশোর : যশোর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকা বলেছেন, যদি উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি না হয় তাহলে যশোরের ইংরেজি বানান নতুন করে লেখার প্রয়োজন নেই। আমাদের জেলার নাম আমরা সহজেই উচ্চারণ করতে পারি, ইংরেজরা সব বাঙলা শব্দ উচ্চারণ করতে পাওে না। তারা যেভাবে উচ্চারণ করে তারা সে ভাবেই লিখেছে। নতুন বানানেও তারা আগের উচ্চারণই করবে।
যশোরবাসী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত ‘যশোরের নয়া ইংরেজি বানানে সুবিধা-অসুবিধা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে আলোচকরা এ সব মত দেন। সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ফারুক জাহাঙ্গীর আলী টিপু।
বৈঠকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, `আমাদের আজকের যশোর একসময় যশোহর ছিল। কিন্তু এত বড় নাম উচ্চারিত না হয়ে যশোরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়। আর ইংরেজরা ঢাকা উচ্চারণ করতে পারতো না। বলতো ডেকা, তেমনি যশোরকে যেসর। তাদের বর্ণমালা এবং উচ্চারণ সংক্রান্ত সমস্যা, আমাদের নয়।`
তিনি বলেন, `এ সময়ে যশোরের ইংরেজি বানান পরিবর্তন না করলেও চলতো। এতে যে আমাদের বিশাল কোনো লাভ হচ্ছে তাও না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের জেলার নামের বানান পরিবর্তন করেছে, আমাদেরও তা করতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। পশ্চিমবঙ্গে আগেও যে কয়টি জেলা ছিল, এখনো তা আছে। আমরা ১৬ থেকে ৬৪টি করেছি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আমাদের চেয়েও এগিয়ে।`
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, লেখক, গবেষক বেনজিন খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যশোর জেলা সভাপতি ডিমএম শাহিদুজ্জামান, সুবর্ণভূমির সম্পাদক, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সম্পাদক আহসান কবীর, উন্নয়ন কর্মী হাসিন নওয়াজ, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন পলাশ, এডাব যশোরের সদস্যসচিব শাহজাহান নান্নু প্রমূখ।
বহুমাত্রিক.কম