Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৪ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

মৌলভীবাজারে সড়কের বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে

নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:০০, ১৪ আগস্ট ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

মৌলভীবাজারে সড়কের বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে

ছবি: বহুমাত্রিক.কম

মৌলভীবাজার : জেলার বিভিন্ন সড়কে গর্ত সৃষ্টি হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজার-শমশেরনগর-চাতলাপুর ও শমশেরনগর-বিমান বন্দর সড়ক এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর পৌর এলাকার ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কে বেহাল দশা ধারণ করেছে।

তিন সড়কেই বড় বড় খানাখন্দ ও পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। গর্তে পড়ে যানবাহনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তিনটি সড়কেই লোক চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এসব সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে জমে থাকা ময়লা পানিতে স্থানীয়ভাবে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।

সরেজমিন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, কুলাউড়ার চাতলাপুর চেকপোস্ট থেকে শমশেরনগর হয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কি.মি. সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কটি যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। বর্তমানে চলাচলের ক্ষেত্রে সড়কটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জেলা সদরের সাথে সংযোগ রক্ষাকারী অন্যতম এ সড়ক দিয়ে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পোহাতে হচ্ছে অবর্ননীয় দুর্ভোগ।

পাশাপাশি গর্তে পড়ে যানবাহন সমুহেও নানা ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। চাতলা শুল্ক স্থল বন্দর ভারতের উত্তর ত্রিপুরায় পণ্য ও মালামলা আমদানি রপ্তানী ছাড়াও এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী, কর্মজীবি ও সাধারণ মানুষ মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি সংস্কার না করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দে ভরপুর। সড়কের পিচঢালা উঠে ছোট-বড় অজস্্র গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

শমশেরনগর-মৌলভীবাজার সড়কে চলাচলকারী যাত্রী মাহবুব চৌধুরী, প্রীতম কুমার দাশ, কলেজ ছাত্রী তামান্ন আক্তার, ব্যবসায়ী আশরাফ হোসেন, মোটরসাইকেল আরোহী জয়নাল আবেদীন জানান, এই সড়কটির পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে রূপ নিয়েছে। সিএনজি অটোরিক্সায় চলাচল করলে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা লাগে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অপরদিকে শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কে সম্প্রতি সংস্কার কাজ হলেও শমশেরনগর থেকে বিমান ঘাটি পর্যন্ত এক কি.মি. সড়কে ছোট বড় অজস্র গর্তে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটির বাকী অংশ পিচঢালা কাজ করলেও এক কি.মি. সড়কে কোন কাজ না হওয়ায় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কমলগঞ্জ পৌরসভা সদরে পৌরসভা কার্যালয়ের অদূরে ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কের প্রবেশ পথে এক হাজার গজের মধ্যে রাস্তা ভেঙ্গে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দে জমে থাকা ময়লা পানিতে স্থানীয়ভাবে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। সড়কের খানাখন্দে পড়ে ময়লা পানিতে প্রতিদিনই পার্শ্ববর্তী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জামা কাপড় ও বই খাতা ভিজিয়ে স্কুলে যেতে হয়।

সড়ক ও জনপথের মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, বরাদ্ধ আসা মাত্রই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে। তবে আপাতত কিছু ইট বালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। জেলার অন্যান্য সড়ক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ঢাকা-সিলেট সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমুহে কাজ চলছে। সেখানে কাজ শেষ হওয়ার পরপরই অন্যান্য সড়কে কাজ চলবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কিরণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ইতিমধ্যেই ভানুগাছ চৌমুহনী থেকে মাধবপুর বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ কি.মি. পথ উন্নয়নে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। ঢাকার ডলি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী কোম্পানী টেন্ডার পেলেও এখন পর্যন্ত কাজের অনুমতি পায়নি।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer