ঢাকা: গত শুক্রবার তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পাড়িয়ে জমিয়েছেন পরপারে। তবে সঙ্গে সঙ্গে মোহাম্মদ আলির শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফেলা হয়নি। বিশেষ করে তিনি যেভাবে বিশ্ব নাগরিক, তাতে সারা বিশ্বের অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্তের জন্য শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানটা একটু বিলম্বেই করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলির নিজের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলে অনুষ্ঠিত হবে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় (জুমার পর) অনুষ্ঠিত হবে জানাজা। এরপর শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য মরদেহ রাখা হবে কেএফসি সেন্টারে। সেখান থেকে নিজের বাড়ির পাশেই গোরস্থানে চিরদিনের জন্য সমাহিত হবেন দ্য গ্রেটেস্ট অ্যাথলেট অন দ্য আর্থ।
মোহাম্মদ আলির পরিবারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে পৃথিবীর সব বর্ণের, সব বর্ণের মানুষ অংশ নিতে পারবেন। কারণ তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের সব শ্রেনীর মানুষের নেতা। মোহাম্মদ আলির জানাজায় অংশ নিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ সমবেত হয়েছেন কেন্টাকির লুইভিলে। এছাড়া হাজার হাজার আমেরিকান তো আছেনই।
মোহাম্মদ আলির জানাজায় ইমামতি করবেন জায়েদ শাকির, যিনি আবার আমেরিকায় বিখ্যাত এক ইসলামিক মনিষী। তিনি জানিয়েছেন, ‘মোহাম্মদ আলি নিজেই তার জানাজা কিংবা শেষকৃত্যানুষ্ঠান কিভাবে হবে সেটা পরিকল্পনা করে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই জানাজা অনুষ্ঠানটাও যেন সবার জন্য শিক্ষনীয় হয়, সে ব্যবস্থা করে গিয়েছেন।’
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অভ্যাগতদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। কথা বলার সুযোগ পাবেন বিশ্ববিখ্যাত কমেডিয়ান বিলি ক্রিস্টাল এবং ক্রীড়া সাংবাদিক ব্রায়ান্ট গাম্বেল। জানাজা এবং সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লুইজভিলের কেভহিল গোরস্থানে দাফন করা হবে তাকে। এই লুইজভিলেই ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোহাম্মদ আলি।
