স্কুল ছাত্রী মুন্নি আক্তার
গাজীপুর : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কুল ছাত্রী মুন্নি আক্তারের(১৩) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরাফাত সরকার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার রতনপুর এলাকায় তার ফুফু বানেছা বেগমের বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করে সে। নিহত আরাফাত সরকার উপজেলার চাপাইর এলাকার আতাউর সরকারের ছেলে।
নিহতের ফুফাতো ভাই সোলে রানা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে আরাফাত তাদের বাড়িতে আসে। পরে রাতে সে এখানেই ছিল। সকালে আমি বাড়িতে ছিলাম না। মা আর আরাফাত বাড়িতে ছিল। মা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘরের আড়ার সাথে গরায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
পরে আরাফাতের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন রতনপুর তার ফুফুর বাড়ি থেকে আরাফাতের মৃতদেহ তাদের নিজ বাড়ি চাপাইরে নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে আরাফাতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুতুবদিয়া নতুনপাড়া এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মুন্নি আক্তারকে হত্যায় অভিযুক্ত করে আরাফাতের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত মুন্নি আক্তার উপজেলার কুতুবদিয়া এলাকার শহীদুল ইসলামের মেয়ে এবং চাপাইর বিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
বহুমাত্রিক.কম