Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘মীরজাফরী করিও না, মুক্তিফৌজ ক্ষমা করিবে না’

ড. নিয়াজ পাশা

প্রকাশিত: ২২:২৪, ৬ আগস্ট ২০১৪

আপডেট: ২২:১৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

প্রিন্ট:

‘মীরজাফরী করিও না, মুক্তিফৌজ ক্ষমা করিবে না’

ঢাকা: ৮ আগষ্ট, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের (বীর বিক্রম) শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এ দিনে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার মুক্ত করতে গিয়ে সম্মুখ সমরে শহীদ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শহীদ সিরাজ।

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে দাফন করা হয়। তাঁর নামে সাচনার নামকরণ করা হয়েছিল ’ সিরাজ নগর”। সম্ভবত শহীদ সিরাজ হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে সর্বোচ্চ খেতারপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের ছাত্র নেতা এবং সে সময়ে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি পদপ্রর্থী।

তাঁর সহযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুধী মহল ও স্থানীয় জনতা শহীদ সিরাজের দেহাবশেষ তাঁর জন্মভূমিতে সমাহিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। শহীদ হওয়ার মাত্র ৮ দিন আগে সিরাজ তাঁর পিতাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। পাঠকের অবগতির জন্য চিঠিটি এখানে হুবহু তুলে দিচ্ছি।


                                                                                                                   টেকেরঘাট হইতে
                                                                                                                     তাং- ৩০/৭/৭১
প্রিয় আব্বাজান !

আমার সালাম নিবেন। আশাকরি খোদার কৃপায় ভালই আছেন। বাড়ির সকলের কাছে আমার শ্রেণীমত সালাম ও স্নেহ রইলো। বর্তমানে যুদ্ধে আছি। আলীরাজা, মাহতাব, রওশন, রুনু, ফুলমিয়া, ইব্রাহিম সকলেই একত্রে আছি। দেশের জন্য আমরা সকলেই জান কোরবান করিয়াছি। আমাদের জন্য ও দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য দোয়া করবেন। আমি জীবনকে তুচ্ছ মনে করি, কারণ দেশ স্বাধীন না হইলে জীবনের কোন মূল্য থাকিবেনা। তাই যুদ্ধকে জীবনের পাথেয় হিসাবে নিলাম।

আমার অনুপস্থিতিতে মাকে কষ্ট দিলে আমি আপনাদের ক্ষমা করিবনা। পাগলের সব জ্বালা সহ্য করিতে হইবে। চাচা-মামাদের ও বড় ভাইদের নিকট আমার ছালাম। বড় ভাইকে চাকুরীতে যোগ দিতে নিষেধ করিবেন। জীবনের চেয়ে চাকুরী বড় নয়। দাদুকে দোয়া করিতে বলিবেন।

মৃত্যুর মুখে আছি। যে কোন সময় মৃত্যু হইতে পারে এবং মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি। দোয়া করিবেন মৃত্যু হইলেও যেন দেশ স্বাধীন হয়। তখন দেখবেন লাখ লাখ ছেলে বাংলার বুকে পূত্র হারাকে বাবা বলে ডাকবে। এই ডাকের অপেক্ষায় থাকুন। আর আমার জন্য চিন্তার কোন কারণ নাই। আপনার দুই মেয়েকে পুরুষের মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। তবেই আপনার সকল সাধ মিটে যাবে।

দেশবাসী ! স্বাধীন বাংলা কায়েমের জন্য দোয়া কর। মীরজাফরী করিওনা, কারণ মুক্তিফৌজ তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেনা এবং এই বাংলায় তোমাদের জায়গা দেবেনা।

সালাম ! দেশবাসী সালাম!
ইতি
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
৩০-৭-৭১ ইং

অত্যন্ত আবেগময় ও তেজোদীপ্ত এ চিঠিতে একজন মুক্তিকামী তরুণের দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ, আকুলতা-ব্যাকুলতা, তিতীক্ষা, আকাঙ্খার বাস্তবচিত্র ফুঠে উঠেছে। মুক্তিবাহিনী এ চিঠিটি সংগ্রহ করে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল চাঙ্গা করতে বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠ করে শুনাতেন। স্বাধীন বাংলা বেতার হতেও এ চিঠিটি কয়েক বার পাঠ করা হয়।

শহীদ সিরাজ ছিল কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার ছিলনী গ্রামের মকতুল হোসেন এরং গফুরুন্নেছা দম্পতির একমাত্র ছেলে। যুদ্ধের সময় সিরাজ ছিলেন কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজের ছাত্র নেতা। যুদ্ধের শুরুতেই সিরাজ এলাকার যুবকদের সংগঠিত করেন এবং তাঁর গ্রামের ৭ জন যুবককে নিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর আমরা (ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধারা) শহীদ সিরাজ ও শহীদ জগৎজ্যোতি দাসের অনেক বীরত্ব গাঁথার অনেক কাহিনী শুনি। আমাদের বাড়ি, লাইমপাশা গ্রামটি এ দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে, প্রায় ১০ মাইলের মধ্যে। তাঁরা দু’জন একই কোম্পানীর অধীনে যুদ্ধে বীরত্বেও জন্য বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত হন। এ কোম্পানীর নাম ছিল শহীদ জগৎজ্যোতি দাসের (বীর বিক্রম) নামে ’দাস কোম্পানী’।

তারা দু’জনে মিলে অনেক সম্মূখ ও গেরিলা যুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে বিপর্যস্ত করে তুলেন। স্বাধীনতার মাস এক আগে জগৎজ্যোতি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে রাজাকার সর্দার আলী রেজা বাহিনীর হাতে ধরা পরে। তাঁকে অত্যন্ত নিষ্টুর ভাবে হত্যা করে লাশ থানার সামনে কয়েক দিন টানিয়ে রাখা হয়েছিল এবং তাঁর বিরোদ্ধে সম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথা ছড়িয়ে দেয়া হয়।

৯০’র দশকে আমি শহীদ জগৎজ্যোতির (জগৎ জ্যোতি দাশ হচ্ছে বৃহত্তর সিলেটের সর্বোচ্চ খেতাবধারি মুক্তিযোদ্ধা) গ্রাম জলসুখা পরিদর্শন করি এবং তাঁর মা’র সাথে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি আমাকে শহীদ জগৎজ্যোতির ঝুলন্ত লাশের ছবি দেখান। এগুলো আমি পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করি।

শহীদ সিরাজের গ্রাম ছিলনীতে যে দিন যাই (’ ৯০ সনে), তখন তাঁর পিতা মাতা কেউ বেঁচে নাই। স্বাধীনতার পর পরই তাঁর পিতা এবং মা ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে ’৮২ সালের দিকে মারা যায়। মৃত্যকালে তাদের গ্রামের এক কুচক্রির চক্রান্তে তাঁর ভাতা বন্ধ ছিল। কথা হয় শহীদ সিরাজের বাড়িতে, তাঁর বোন জামাই ও আপন খালাতো ভাই আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতি ভাই এর ঘরে বসে। রাগে ফুঁসছিলেন মতি ভাই।

আগের দিন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার হিসাবে দাওয়াত পেয়ে তাঁর মেয়ে ইটনা সদরে গিয়েছিলেন। কিন্ত সারাদিন না খেয়ে এসেছেন, কেউ খবরও নেয় নাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ সিরাজের সহযোদ্ধা রওশন আলী রুশো ভাই। যাঁর কথা শহীদ সিরাজের চিঠিতে উল্লেখ আছে। তিনি অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভাবে ট্রেনিং কালের ভয়ংকর ও রোমাঞ্চ অভিজ্ঞতার কথা আমাদের বর্ণনা দেন। যুদ্ধকালীন ঘটনা তিনি লিখে রেখেছেন।

সাচনা যুদ্ধে রুশো ভাই শহীদ সিরাজের সাথে ছিলেন। শহীদ সিরাজ ছিলেন এ যুদ্ধের কমান্ডার। নিঝুম কালো রাত, মুশুল ধারে বৃষ্টি, চারিদিকে ভরা বর্ষায় শনির হাওরের অথৈ জলরাশি ভেদ করে কমান্ডার সিরাজের নেতৃত্বে ৩টি ছিপ নৌকায় ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে চলেছে রাক্ষুসী সাচনা মুক্ত করতে। ঢাকা সিলেট নৌ-পথে সাচনার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এ পথে পাক বাহিনী সৈন্য, গোলা বারুদ ও রসদ সরবরাহ করত। কয়েকবার অপারেশন চালিয়েও সাচনা মুক্ত করতে না পেরে সাচনা রাক্ষুসী হিসাবে অভিহিত হয়।

সামনা সামনি, হাতাহাতি যুদ্ধে সাচনা জয় হলেও কমান্ডার সিরাজ ডান চোখে গুলিবদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাঁকে টেকেরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। তাঁকে ভারত-বাংলাদেশ সিমান্তে (নো ম্যানসল্যান্ড এর পার্শ্বে) পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। সে সময়ে, সেখানে অনুষ্টিত শোক সভায় সাচনার নাম পরিবর্তন করে ’ সিরাজ নগর” রাখা হয়।

এমপি সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সভাপতিত্বে ঐ শোক সভায় ভারত-বাংলাদেশের উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। এখন সবই বিস্মৃত হতে চলেছে। একটি বিষয় আমাকে বিস্ময় সৃষ্টি করে যে, ঐ সময়ে দু’শহীদ পরিবারের কেউ আমাকে বলেননি যে, যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁরা বীর বিক্রম উপাদিতে ভূষিত হয়েছেন। ’৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবহেলা ও বৈরী পরিবেশ হয়ত এ অবস্থার সৃষ্টি করেছিল।

তাঁর বোন (বর্তমানে তিনি মৃত) সে সময় আক্ষেপ করে বলেন, একমাত্র ভাই এর লাশ অনেক দূরে সমাহিত। অর্থাভাবে নিয়মিত তাঁরা কবর জিয়ারত করতে পারেন না। অযত্ন ও অবহেলায় তাঁর কবর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ সময় আমার দৃষ্টি পরে ঘরের টিনের বেড়ায় টানানো শহীদ সিরাজের ছবির সাথে একটি টিঠি। পড়ে আমার লোম খাড়া হয়ে উঠে। অত্যন্ত তেজোদ্দীপ্ত এ চিঠি।

স্বাধীনতাকামী তখনকার প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার মনোবাসনার বাস্তব প্রতিচ্ছবি এতে ফুটে উঠে। চিঠিটি কপি করে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করি। এটাই এ চিঠির প্রথম জনসম্মুখে পত্রিকায় প্রকাশ ছিল। ইতিমধ্যে ঢাকার সেগুন বাগিচাস্থ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর এবং রাজশাহীর বরেন্দ্র মিউজিয়াম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক সংগ্রহের আহবান জানান।

আমি প্রকাশিত পত্রিকার কপি সহ চিঠিটি সংগ্রহের অনুরোধ জানানোর প্রেক্ষিতে মূল কপিটি বরেন্দ্র মিউজিয়ামের কিউরিটর মনসুর আহমেদ খান সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করেছেন। চিটিটি বর্তমানে খুজে পাওয়া যাচেছ না। এ বিষয়ে আমি মরহুম মনসুর আহমেদ খানের বড় ভাই শিল্পী হাশেম খানের সহযোগিতা চেয়ে কথা বলেছি। চিটি ’৭১ এ আমার প্রেরিত এ চিটিটি প্রকাশ করলেও নাম দেয়া হয়েছে অন্য জনের।

শহীদ জগৎজ্যোতির নামে সুনাম গঞ্জ কলেজের লাইব্রেরীর নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু শহীদ সিরাজের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হয়নি। এ অঞ্চলের বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বোচ্চ খেতাব প্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা (বীর বিক্রম) হলেও নিরবে নিভৃতে তাঁর শাহাদাত বার্ষিকী চলে যায়, ক’দিন পর তার কবরটিও হয়তো নিচিহ্ন যাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী রুশো ভাই ব্যক্তিগতভাবে অনেক চেষ্টা করছেন শহীদ সিরাজের স্মৃতিকে ধরে রাখতে। তিনি এ বিষয়ে লিখছেন। ক’দিন আগে রুশো ভাই এর ফোন, শহীদ সিরাজের দেহাবশেষ জন্মভূমিতে আনার চেষ্টা করছেন তাঁরা। স্থানীয় ইটনা কলেজের প্রিন্সিপালের নেতৃত্বে এবার তাঁরা শহীদ সিরাজের শাহাদত বার্ষিকীতে স্মৃতি বিজরিত সাচনা ও টেকেরঘাট যাবেন । আমাকে তাঁদের সঙ্গী হিসাবে চান।

তাঁর দেহাবশেষ জন্মভূমিতে আনার দাবিতে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন। আবার এ বিষয়ে ফোনে কথা বলি মতি ভাই এর সাথে। তিনি বলেন, বয়স হয়েছে, শরীর ভাল না, আমি যেতে না পরেেলও বড় ছেলে যাবে। এ দাবির সাথে তিনিও একমত। শহীদ সিরাজের এক বোন, মতি ভাই এর স্ত্রী বর্তমানে তারা দুজনই মারা গেছেন। আরেক বোনের বিয়ে হয়েছে কিশোরগঞ্জে।

তিনি বলেন, এমন একটা কিছু করেন যেন, শহীদ সিরাজের স্মৃতি অমর থাকে। দূর বিদেশে অযত্ন, অবহেলায়, অচেনা পরিবেশে তাঁর দেহাবশেষ ফেলে রেখে আত্মত্যাগের কথা হারিয়ে যেতে দেবেন না। তিনিও মৃত্যু বরণ করেছেন । শহীদ সিরাজের বাড়িতে কিছু একটা করা এবং ইটনা - ছিলনী সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবী করেন মতি ভাই।

আমার দাবি, শহীদ সিরাজের দেহাবশেষ তার স্মৃতি বিজড়িত গুরুদয়াল কলেজ চত্বরে যথাযথ মর্যাদায় সমাহিত করা হউক, যেখানে শহীদ বেদীতে তাঁর ঐতিহাসিক চিটিঠি লিপিবদ্ধ থেকে দেশপ্রেমের অপার মহিমা ও আত্মত্যাগের গৌরব গাঁথার কথা যুগ যুগ ধরে ঘোষণা করবে। মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে গত বছর এ বিষয়ে আমি আবেদন করেছি। শহীদ সিরাজের (বীরবিক্রম) দেহাবশেষ জন্মভূমিতে এনে সমাহিতের দাবীতে সকল মহলের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা কামনা করছি।

Niaz-Pashaড. নিয়াজ পাশা: কৃষি প্রকৌশলী ও কৃষি বিষয়ক লেখক। হাওর অঞ্চলের সন্তান হিসেবে হাওরবাসীর স্বার্থ আদায়ে সোচ্চারকণ্ঠ । বর্তমানে সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকায় কর্মরত। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি)

 [email protected]

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer