ঢাকা : মিয়ানমারে নেপিতো শহরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স (এমপিএফ) শীর্ষ পর্যায়ের চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর সম্মেলন শেষ হবে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের চীফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো সুয়ি উইনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডিসেন্স এ্যাটাশে অংশগ্রহণ করছেন। অপরদিকে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলে পুলিশ ফোর্স (এমপিএফ) এবং বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদক ও কাস্টম বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ রয়েছেন।
সম্মেলনে সীমান্ত লঙ্ঘন, অনুপ্রবেশ, সীমান্ত এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো, ভূমি ও আকাশসীমা লঙ্ঘন, সীমান্তে সামরিক বাহিনীর চলাচল/মাইন স্থাপন/ পুঁতে রাখা মাইন ও বিস্ফোরক অপসারণ, নাগরিকদের আটক ও অপহরণ, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ যেমন- সন্ত্রাসী প্রতিরোধ, মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য বিশেষ করে ইয়াবা পাচার, চোরাচালান দ্রব্য, মানব পাচার, অবৈধভাবে মাছ আহরণ ও বাংলাদেশী জেলেদের উপর গুলিবর্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতা যেমন- নিয়মিত পতাকা বৈঠক, স্থানীয় অধিনায়ক পর্যায়ের বৈঠক, নাফ নদীসহ সীমান্তে সমন্বিত যৌথ টহল ও সীমান্তে যৌথ নজরদারি, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির পদক্ষেপ যেমন- ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলা, প্রশিক্ষণ ও সফর বিনিময়, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময়, উভয় বাহিনীর পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্যদের ভ্রমণ এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স-এর সাথে বিজিবি মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। সম্মেলন শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।