ঢাকা : সৌদি আরবের মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মক্কা থেকে মিনায় যাত্রা শুরু করেন মুসল্লিরা। এবার প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করছেন।
রোববার রাতে মিনায় অবস্থান করবেন হাজিরা। সোমবার ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা যাবেন মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানের দিকে। আরাফাতে যাওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে; যে যেভাবে পারেন পৌঁছাবেন। সবার শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা থাকবে। তাদের ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান।
আরাফাতের ময়দান থেকে মুসল্লিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। এখানে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন তারা। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।
মঙ্গলবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরে আসবেন মিনায়। বুধবার সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা।
হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে সৌদি আরবের সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাদশাহ সালমানের উপদেষ্টা প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সাল হজ ব্যবস্থাপনা তদারকি করছেন।