ছবি: বহুমাত্রিক.কম
নওগাঁ: জেলার মান্দায় সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে সুতিহাট পঞ্চমীতলা নামক স্থানে সওজের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ‘নওগাঁ জেলা ট্রাক ট্যাংকলড়ী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন’ নামে অফিস ঘর নির্মাণ করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে ও সরেজমিনে জানা যায়, শনিবার থেকে ওই স্থানে গাছের ও কাঠের খুটি দিয়ে উঁচু করে অফিস ঘরের কাঠামো তৈরী করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। কাঠামোতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘের দেয়া হবে। পরে ওই অফিসের সামনে সোমবার বিকেলে ‘নওগাঁ জেলা ট্রাক ট্যাংকলড়ী কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন-রেজি নং রাজ-২৬৫৮’ এর একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
তবে ওই জায়গার ঠিক পেছনের জমির মালিক মৃত মুহি উদ্দিনের ছেলে নূরুল মাস্টার অংশীদার সূত্রে ওই স্থানে কাজ করার জন্য নিষেধ করেন। এনিয়ে তাদের সাথে কথাকাটিও হয়। কিন্ত তারা নিষেধ সত্বেও কাজ চালিয়ে যায়।
রাস্তা করার সময় ওই জমির কিছু অংশ সরকার একোয়ারের মাধ্যমে সওজের হয়ে যায়। আর সে সুবাদে সওজের ওই অংশ জমির মালিক ভোগ দখল করার কথা। অথচ জমির ওই অংশে হঠাৎ করে শনিবার থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন অফিস ঘর নির্মাণ শুরু করেন। তবে ওই জাগয়া দখল হয়ে যাওয়ায় জমির মালিক অফিস ঘরের পাশে রাস্তা সংলগ্ন অবশিষ্ট অংশে দুই সারি করে বাঁশের বেড়া দিয়েছেন।
তবে স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানান মতভেদ। কেউ বলছেন পাশেই কাঠের খড়ির বাজার। আর ট্রাকে করে খড়ি নেয়ার জন্য আশা শ্রমিকদের রাতে এবং অন্য সময় আরাম করার কোন জায়গা নেই। সেখানে অফিস ঘর করায় শ্রমিকদের একটু হলেও সুবিধা হয়েছে। তারা সেখানে আরাম করতে পারবে। অনেকেই বলছেন সাইনবোর্ড লাগিয়ে অফিস ঘর নির্মাণ করেছে তা আর কেউ সরাতে পারবেনা। শ্রমিকরাই যা খুশি তা করতে পারেন। তবে বেশির ভাগই লোকজনকে বলতে শুনাগেল সেখানে অন্যের জমি দখল করে অফিস ঘর নির্মাণ করা ঠিক হয়নি।
পাশের জমির মৃত মুহি উদ্দিনের ছেলে অংশিদার সূত্রে মালিক আবুল কালাম বলেন, ‘চাকুরির সুবাদে চট্টগ্রাম থাকতে হয়। জমির পাশে রাস্তা সংলগ্ন জায়গায় অফিস ঘর তৈরী করা হচ্ছে বড় ভাই নূরুল মাস্টার খরব দেয়। খবর পেয়ে রবিবার এলাকায় ছুটে এসেছি। শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন জোরপূর্বক দখল করে অফিস ঘর নির্মাণ করছেন। তাদের কে নিষেধ করা হলেও তা মানছেনা। এছাড়াও আমাদের দুইভাইকে তাদের সংগঠনের সদস্য করে নিবে বলে জানায়।
ওই সংগঠনের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘একোয়ারের উপর সবাই দোকান করেন। এছাড়া স্থায়ীভাবে অনেকে ইট দিয়ে বাড়ী করে। আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে সওজের সাথে। আমাদের মাথা গোজার কোন জায়গা নাই। অস্থায়ীভাবে এ অফিস ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সওজ থেকে যদি ভাঙ্গতে বলে তাহলে ভেঙ্গে ফেলব।
নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হামিদুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে জানা নেই। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বহুমাত্রিক.কম