ছবি : ফাইল ছবি
ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালীর সালামত উল্লাহ খানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের দিন পিছিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরর্বতী দিন ঠিক করেছে ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেয়।
সোমবার ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর রানাদাস গুপ্ত ও তাপস কান্তি বল, অন্যদিকে আসামীপক্ষে শুনানি করেন আব্দুস সুবহান তরফদার ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান শুনানি করেন।
প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এর মধ্যে জামিন প্রাপ্ত আসামী এম এ রশিদ মিয়া নামে একজন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায় তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আদেশের দিন পিছানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২২ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছিলেন। আজ ওই দিন পিছিয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- সালামত উল্লাহ খান, মৌলভী জকরিয়া শিকদার (৭৮), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মৌলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মোলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মোলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।
আসামি এসআই সামসুল হকের ঠিকানা না পাওয়ায় এবং আব্দুল মজিদ মাস্টার মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। মামলায় ১৯ জন আসামির মধ্যে মারা যাওয়ায় আরও দুই আাসামির নাম বাদ দিয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আদালতে দাখিল করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরকরণ ও দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার ৯৪টি, নারী নির্যাতন অসংখ্য এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। মামলায় মোট ১২৬ জন সাক্ষী রয়েছেন।
প্রসিকিউটর রানাদাস গুপ্ত জানান, আসামিদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে একজন জামিন রয়েছেন।
তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালে যতগুলো মামলা এসেছে তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা। মামলার তদন্ড কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত তদন্ত শেষ করেন।