Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৪ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

মধুচন্দ্রিমার মধুর পাঁচ গন্তব্য

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৩৮, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

মধুচন্দ্রিমার মধুর পাঁচ গন্তব্য

ঢাকা : সামনেই বিয়ে৷ বিয়ের যাবতীয় তোড়জোড়, পোশাক, ভেনিউ, ফটোগ্রাফার, মেক-আপ আর্টিস্ট, তত্ত্ব, কেটারিং-এর সেরাটা খুঁজে বের করা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এত কিছুর মাঝে হয়তো মধুচন্দ্রিমার প্ল্যানিংটা করা হয়েই ওঠেনি৷

জীবনের সবচেয়ে মেমোরেবল ট্রিপ-এর প্ল্যানে অনেকেই বেশ বেগ পান৷ বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, ভারতেই এমন ডেস্টিনেশন রয়েছে, যা শুধু এই স্পেশাল ট্রিপকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে৷ নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসতে পারবেন কোয়ালিটি টাইম৷ তেমনই কিছু জায়গার বিবরণ থাকছে৷

গোয়া: গোয়ার সৈকতের সঙ্গে নতুন করে আলাপ করানোর কোনও প্রয়োজন পড়ে না৷ রোমান্টিক থেকে হ্যাপেনিং- যেরকম বিচ চাইবেন, তেমনটিই পাবেন৷ কালাঙ্গুটে, বাগা, আরামবোল- তালিকা বিরাট৷ সঙ্গে চাইলে রয়েছে পর্তুগিজ স্থাপত্যের নিদর্শনও৷

নৈশভোজের পর ঘুরে আসতে পারেন টিটোস ও মাম্বোস নাইট ক্লাব, চাইলে বিচ সংলগ্ন শ্যাকেও কাটাতে পারেন সময়৷ চাপোরা ফোর্টে সূর্যাস্ত দেখতে একেবারেই ভুলবেন না৷ হানিমুনের মতো রিল্যাক্সড ট্রিপে নিতে পারেন স্পেশাল মাসাজও৷

কী খাবেন: কন্টিনেন্টাল, অথেনটিক গোয়ানিজ খাবার ট্রাই করুন৷ বিয়ার এখানে জলের চেয়েও সস্তা৷ লোকাল ক্যাশিউ বা কোকোনাট ফেনি ট্রাই করুন৷ চিকেন, মাটন ভুলে সিফুডে মজে থাকুন৷

কোথায় থাকবেন: তাজ এক্সোটিকা গোয়া, দ্য লীলা গোয়া, গোয়া ম্যারিয়ট রিসর্ট অ্যান্ড স্পা, ভিভান্তা বাই তাজ, হুইসপারিং পামস বিচ রিসর্ট৷

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ফ্লাইটে পৌঁছে যান ডাবোলিম এয়ারপোর্ট৷ মুম্বই হয়ে কানেকটিং ফ্লাইটে সময় লাগবে ছ’ঘণ্টা৷ এছাড়া অমরাবতী এক্সপ্রেসে পৌঁছে যান গোয়া, হাওড়া থেকে ভাস্কো দা গামা পৌঁছতে সময় লাগবে ৩৭ ঘণ্টা৷

কী কিনবেন: বিভিন্ন ধরনের মশলাপাতি, লোকাল লিকার, ড্রেস, হরেক স্মারক দ্রব্য৷

উদয়পুর: নিরিবিলিতে রাজার মতো বহাল তবিয়তে কয়েকটা দিন কাটানোর জন্য পাড়ি দিন উদয়পুর৷ সেখান থেকে ড্রাইভ করে পৌঁছে যান মাউন্ট আবু৷ ঘুরে আসুন সানসেট পয়েন্ট৷ নাক্কি লেকের এই অ্যামবিয়েন্স দারুণ রোমান্টিক৷ উদয়পুরের সিটি প্যালেস ও উদয়পুর ঘিরে থাকা লেকের সৌন্দর্য অবর্ণনীয়৷

কী খাবেন: অথেনটিক রাজস্থানি খাবার লাল মাস অবশ্যই চেখে দেখুন৷

কোথায় থাকবেন: দ্য ওবেরয় উদয়ভিলা, তাজ লেক প্যালেস, রামাডা উদয়পুর রিসর্ট অ্যান্ড স্পা৷

কী কিনবেন: মিনাকারি গয়না, জেমস্টোন পেন্টিং, অক্সিডাইজড জুয়েলারি, তামার জিনিস, মার্বেলের জিনিসপত্র, অ্যাণ্টিক উডেন ফার্নিচার, বাঁধনির শাড়ি ও দোপাট্টা৷

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে মুম্বাই অথবা দিল্লি হয়ে কানেকটিং ফ্লাইটে সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা৷ অনন্যা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ও শালিমার-উদয়পুর সিটি উইকলি এক্সপ্রেস৷ ২টি ট্রেনই ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে৷ এছাড়া আরও ট্রেনও রয়েছে৷

কুমারাকোম: কেরলের কোট্টায়ামের কাছে ছোট্ট গ্রাম কুমারাকোম৷ এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখ-ধাঁধানো৷ ছিমছাম, নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আদর্শ৷ সাইট সিয়িং, বোটিং, ফিশিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে এখানে৷ শীতে এখানে উড়ে আসে নানান পরিযায়ী পাখি৷ এখান থেকে ফেরিতে ঘুরে আসতে পারেন আলেপ্পি৷

কোথায় থাকবেন: কুমারাকোম লেক রিসর্ট, দ্য জুরি কুমারকোম, তাজ গার্ডেন রিট্রিট, হুইসপারিং পামস৷

কী খাবেন: আপ্পাম, কাপ্পা, কারিমিন (এক ধরনের মাছ), চিংড়ি, কাঁকড়া, স্কুইড৷

কী কিনবেন: হ্যান্ডক্রাফটেড মার্কেডাইজ, ক্যামেল বোন কার্ভিং, গ্রাস ম্যাট৷

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ফ্লাইটে পৌঁছে যান এর্নাকুলাম৷ সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছতে হবে কুমারাকোম৷ এছাড়া ট্রেনে কোট্টায়াম হয়ে পৌঁছতে হবে কোট্টায়াম৷

কুর্গ: ‘স্কটল্যান্ড অফ ইন্ডিয়া’ নামে খ্যাত এই জায়গা হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবে আদর্শ৷ কুর্গের চারপাশে জুড়ে রয়েছে ঘন সবুজ প্রকৃতি, অরণ্য, পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছড়িয়ে থাকে মশলা ও কফির প্ল্যানটেশন৷ কুর্গের মাদিকেরি অবশ্যই ঘুরে দেখুন৷ একসময় ব্রিটিশ শাসনে থাকা এই জায়গায় এখনও ছড়িয়ে আছে লাল-টাইল-এর বাংলো৷ এখানকার কফি চাষ শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে৷ দেখে আসুন অ্যাবি ফলস, নামড্রোলিং মনাস্ট্রি, নাগারহোল জাতীয় উদ্যান, ইরুপ্পু ফল ও মাদিকেরি কেল্লা৷

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে সরাসরি কুর্গের কোনও ট্রেন নেই৷ মাইসোর হয়ে পৌঁছতে হবে কুর্গ৷ কুর্গের সবচেয়ে কাছের এয়ারপোর্ট ম্যাঙ্গালোর৷

কোথায় থাকবেন: মাদিকেরিতে রয়েছে কুর্গ ক্লে স্টে, কার্নি কুটির, জঙ্গল ট্রেলস হোমস্টে৷ এছাড়া হোটেল রয়েছে বিভিন্ন রেঞ্জের৷ অরেঞ্জ কান্ট্রি রিসর্ট, হোটেল কুর্গ ইন্টারন্যাশনাল৷

কী খাবেন: কোডাভা এখানকার লোকাল কুইজিন৷ এখানকার এক ধরনের সুগন্ধী চাল সান্নাক্কি চেখে দেখুন৷ স্টিমড ফিশ (পাট্টুস), পর্ক, কাঁকড়ার নানারকম পদ৷

কী কিনবেন: এখানকার কফি, বিভিন্ন ধরনের মশলা, কমলালেবু, চকোলেট ও হোমমেড ওয়াইন৷

ম্যাকলেয়ডগঞ্জ: হিমাচলের ধর্মশালার কাছে নিরিবিলি হিলস্টেশন ম্যাকলেয়ডগঞ্জ৷ তিব্বতি ও ব্রিটিশ ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে অপূর্ব সুন্দর এই পাহাড়ঘেরা বসতি৷ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত মনাস্ট্রি রয়েছে এখানে– যেমন নামগিয়াল মনাস্ট্রি, সুগলাগখাং মনাস্ট্রি৷ দেখে আসুন ভাগসু ফল৷ যেতে পারেন ৯ কিলোমিটার বিস্তৃত ট্রেকে, যাকে বলা হয় ট্রাইউন্ড৷ ১৮৫২ সালে নিও-গথিক স্থাপত্যের ধাঁচে তৈরি চার্চ অফ সেন্ট জনস ইন দ্য ওয়ান্ডারনেস দেখার মতো৷

কোথায় থাকবেন: হোটেল মাউন্ট ভিউ, হোটেল স্যাফায়ার, বেলা হাইটস, হোটেল উড কাসল৷

কী খাবেন: তিব্বতি কুইজিনের মোমো, থুকপা, টিঙ্গমো, বাকলেব (তিব্বতি শিঙাড়া)৷ এছাড়া বিভিন্ন বেকড আইটেম যেমন লেমন টার্ট, কেক, চকোলেট মুজ৷ রয়েছে প্রচুর ইতালীয় রেস্তোরাঁ৷

কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ফ্লাইটে দিল্লি হয়ে সেখান থেকে অন্য ফ্লাইটে পৌঁছে যান ধর্মশালা৷ ধর্মশালা থেকে গাড়ি করে পৌঁছান ম্যাকলেয়ডগঞ্জ৷

কী কিনবেন: তিব্বতি হ্যান্ডিক্রাফটস, সিলভার জুয়েলারি, অষ্টধাতুর জিনিস, মাস্ক৷

সংবাদ প্রতিদিন

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer