ঢাকা : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল কোর্ট) আদালত পরিচালনা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আরো দুই সপ্তাহ স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয় (এডজরন্ড ফর টু উইকস)। ফলে আরো দুই সপ্তাহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা চলতে বাধা নেই বলে জানায় আইনজীবীরা। এর আগেও বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট রায় আরো দু’দফা স্থগিতাদেশ দেয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল কোর্ট) আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১৪ টি ধারা ও উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে গত ১১ মে রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট আদালত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করে আদেশ দেয়। একই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল করারও নির্দেশ দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল কোর্ট) আদালত পরিচালনা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৭ জুন প্রকাশ করা হয়েছে। রায় প্রদানকারী বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়। ৬৪ পৃষ্ঠায় দেয়া এ রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল কোর্ট) আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১৪ টি ধারা ও উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে গত ১১ মে রায় দেয় হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল কোর্ট) আদালতে সাজাপ্রাপ্ত পৃথক তিন ব্যক্তির দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রায় দেয়া হয়।