ঢাকা : ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেছেন,মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আহরণে মোবাইল এ্যাপস চালুর বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিকাশের মত মোবাইল ব্যাংকিং সফলতা পেয়েছে।এরই আলোকে ভ্যাট আহরণে এ ধরনের মোবাইল এ্যাপস চালু করা সম্ভব।এটি চালু হলে বছরশেষে ব্যবসায়ীরা কত টাকার ভ্যাট দিয়েছেন,সেই হিসাব তার কাছে থাকবে এবং নতুন ভ্যাট আইনে নিয়মিত ভ্যাট দিলে রেয়াদ পাওয়ার যে সুযোগ রয়েছে, সেটাকেও তিনি কাজে লাগাতে পারবেন।’
তিনি মোবাইল এ্যাপস চালুর জন্য মুঠোফোন কোম্পানী,বেসিস,তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং এটুআই প্রকল্পের সাথে ব্যবসায়ীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের আয়কর এবং ভ্যাট বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কর্মশালার আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কামরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় এনবিআরের সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন ও পারভেজ ইকবাল আলাদাভাবে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
নজিবুর রহমান বলেন,ডিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে এনবিআর সেরা করদাতাদের মাঝে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করছে।ভ্যাট আহরণে এই সংগঠনের মোবাইল এ্যাপস চালুর প্রস্তাবটিও বিবেচনাযোগ্যা।আশা করি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পেলে এই প্রস্তাবটিও বাস্তবায়ন করা যাবে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দেশের সকল পর্যায়ের জনগনের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান তার বক্তব্যে ইসিআর মেশিনের বিকল্প হিসেবে মোবাইল এ্যাপস চালুর প্রস্তাব করেন। এতে ভ্যাট আহরণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের হিসাব রাখাও সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাটের হার ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।তিনি বলেন,এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে এবং দেশের অর্থনীতি আরো গতিশীল হবে। আমাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে।আমরা বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব ভ্যাট আইন চাই।
তিনি আরো বলেন, সরকার আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নের আগে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো একান্ত আবশ্যক।
একইসাথে তিনি ব্যবসায়ীদের আয় থেকে পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর রেওয়াত প্রদানের প্রস্তাব করে বলেন, এতে ব্যবসায়ীরা নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে আরো উৎসাহিত হবেন। কর্মশালায় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০০ জন কর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
