ঢাকা : শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতায় মোদি বলেন, বাংলাদেশ ভারত আলাদা দুটি দেশ হলেও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটুট বন্ধন রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হলে সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু আমরা একে একে সমস্যাগুলোর সমাধান করেছি। হয়তো কিছু বাকি আছে, আমি সেই কথাগুলো বলে এই চমৎকার অনুষ্ঠান নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমি আশা করি যে কোনো সমস্যার সমাধান আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমেই সমাধান করতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন- দুই বাংলার সম্পর্ক চিরায়ত ও বিশ্বজনীন।
এর আগে, বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে রীতিমাফিক দুই নেতাকে ঐতিহাসিক শান্তিনিকেতনের মাটিতে স্বাগত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় সমাবর্তন মঞ্চে একে একে আসন গ্রহণ করেন মমতা ব্যানার্জীসহ উপমহাদেশের প্রভাবশালী তিন শীর্ষ নেতা।
সমাবর্তনের বক্তব্যে অন্যান্য প্রসঙ্গের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেন দুই বাংলার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিক নিয়ে। তিনি বলেন, দুটি আলাদা দেশ হলেও বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক অনেক দিক থেকেই অটুট।
বিকেলে অন্যান্য আয়োজনের ফাঁকে হাসিনা-মোদী শীর্ষ দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার কথা রয়েছে।