বগুড়া : বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আবদুর রহমান সমাজের অসহায়দের বিধবা ও বয়ষ্কভাতার কার্ড করে দিতে প্রতিজনের নিকট থেকে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা বিনিময়মুল্য নিচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। চোখের পানিতে প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিকের কাছে এমনই অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের মানিকদীপা নিশানচড়া গ্রামের অসহায় বৃদ্ধা ভিক্ষুক জাহানারা বেগম (৭০)।
বৃদ্ধা ভিক্ষুক জাহানারা বেগম বলেন, “কোনটি জামু আর কার কাছে বলমু মেম্বারের এসব কথা”। তিনি জানান,স্বামী মারা যাওযার পর থেকে সে প্রায় ১৫ বছর ধরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে বয়সের ভরে এই ভিক্ষাবৃত্তিও করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। তাই বেশ কিছুদিন যাবত সে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের নিকট বিধবা বা বয়ষ্কভাতার কার্ড করে দেয়ার জন্য আবদার জানাতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন পুর্বে ৬ হাজার টাকা দিলে বয়ষ্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া যাবে বলে ভিখারীকে জানিয়ে দেয় ওই ইউপি সদস্য আবদুর রহমান। বয়সের ভারে নিরুপায় হয়ে জাহানারা সারাজীবনের ভিক্ষাবৃত্তির গচ্ছিত ৬ হাজার টাকা ইউপি সদস্যকে প্রদান করে।
বিষয়টি সচেতন মহলে জানাজানি হলে ওই ইউপি সদস্য গোপনে ৩ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বলে একথা কেন অপরকে জানানো হলো তাই তার কার্ড পেতে দেরী হবে। এমতাবস্থায় টাকা হারিয়ে চোখের পানিতে দিনাতিপাত করছে ভিখারী জাহানারা।
এ সম্পর্কে আড়িয়া ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম