Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

বড় অলরাউন্ডার হতে পারতেন মাশরাফি ভাই: সাকিব

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ৯ অক্টোবর ২০১৬

আপডেট: ০৩:২৯, ১০ অক্টোবর ২০১৬

প্রিন্ট:

বড় অলরাউন্ডার হতে পারতেন মাশরাফি ভাই: সাকিব

ঢাকা:মাশরাফি’ বইয়ে এই বিষয়ে সাকিব অনেক কথা বলেছিলেনএই সময়ে পড়ে ফেলুন, বইয়ে মাশরাফি বিষয়ে সাকিব আল হাসানের সাক্ষাতকার

সাকিব আল হাসানের সাথে কথা বলাটা ঝুঁকিপূর্ণমুড থাকলে অনেক কথা বলবেন, অনেক মজা করবেননা হলে পেটে বোমা মেরেও কথা বের করা যাবে নাসেই দিনটায় তার মুড ছিল বলে মনে হচ্ছিল নাকিন্তু প্রসঙ্গ যখন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আশ্চর্য করে ফেললেনএক লহমায় নিজেকে ঝেড়ে ফেলে কথা বলতে শুরু করলেন

মাশরাফির বিষয়ে যে সাকিবের এতটা বলার ছিল, সে আগে কল্পনা করা যায়নি

মাশরাফির সাথে প্রথম পরিচয়ের কথা মনে আছে?

হ্যাঁ, মনে আছে। নড়াইলে। ওই যে ওনাদের ওখানেই তো বিকেএসপির ক্যাম্প হয়েছিল। যেটা থেকে আমাকে বিকেএসপির জন্য সিলেক্ট করল। বাপ্পী স্যার আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওখানেই কৌশিক ভাইকে প্রথম দেখি। তখনই তো উনি অনেক বড় তারকা।

আগে থেকে তার সম্পর্কে জানতেন?

ঠিক জাতীয় দলের তারকা হিসেবে জানতাম না। হয়েছে কী, আমি তো টিভিতে খেলা কম দেখতাম। ফলে ওনার বোলিং যে টিভিতে খুব দেখেছি, তা মনে হয় না। তবে নাম জানতাম। হয় না? পাশের জেলায় একজন ক্রিকেটার দেশ-বিদেশে খেলছে, তার খবর ছাপা হচ্ছে পত্রিকায়। নাম জানতাম। লোকে বলতও খুব ওনার কথা।

আমি শুনেছিলাম, নড়াইল ক্যাম্পে আপনার যাওয়ার একটা বড় আগ্রহ ছিল মাশরাফির সাথে দেখা হওয়া...

বলতে পারেন। ওই সময় আমাদের বয়সী ক্রিকেটারদের কাছে উনি হিরো ছিলেন। ঠিক ওনার সাথে দেখা করব বলেই ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তা নয়। তবে ক্যাম্পে তো শুরুতে যেতে চাইনি। পরে বাপ্পী স্যার বললেন, কৌশিক নড়াইলে আছে। ওখানে গেলে ওর বিপক্ষে বল করতে পারবি।

মানে, তখন ব্যাটসম্যান মাশরাফি বেশি আলোচিত ছিলেন?

হ্যাঁ। অবশ্যই। ওনার ব্যাটিং নিয়ে তখন অনেক গল্প ছিল।

বাপ্পী স্যার নাকি মাশরাফিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যে, পারলে এই পিচ্চিটাকে ছক্কা মেরে দেখাও

(হাসি)। ঠিক, ঠিক। এটা আমার মনে আছে। তখন উনি ছিলেন ভয়ানক ব্যাটসম্যান। নেটে ওনার সামনে কেউ বল করতে চাইত না। সবাইকে খালি ছক্কা মারত। বাপ্পী স্যার বলল, এই ছেলেটাকে ছক্কা মারো। আমি ভয় পাইনি, আমি ঠিক গিয়ে বল করেছিলাম।

আপনাকে ছক্কা মারতে পেরেছিল?

মনে হয় না। (একটু ভেবে)। না, না। পারেনি। আমাকে ছক্কা মারতে পারেনি। (আবার হাসি)।

নড়াইল তো একটা মজার জগৎওখানে গিয়ে আপনি মজা করতেন?

প্রথম কয়েকটা দিন মন খারাপ ছিল। তারপর আপনি তো জানেন, ওনারা কেমন মানুষ। প্র্যাকটিস, বাইরের সময়; সব সময় মজা করে। আমরা ওনাদের সাথে খুব একটা মেশার সুযোগ পাইনি। ওনারা তো একটু বড় ছিল আমাদের চেয়ে। তবে মনে আছে, একটা নদীতে কৌশিক ভাইদের সাথে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলাম। ওনারা ওই নদীটাকে খুব পছন্দ করে।

ওটাই কী চিত্রা নদী?

মনে হয়। আমার ঠিক মনে নেই। তখন কি নাম শুনেছিলাম কি না...। মনে হয় চিত্রা নদীই হবে।

জাতীয় দলে এরপর একসময় সতীর্থ হয়ে উঠলেনমাশরাফি কেমন সতীর্থ?

জাতীয় দলে আপনি সবচেয়ে ভালো যে ধরনের সতীর্থ কল্পনা করতে পারেন। উনি কেমন মানুষ, সে তো আপনারাও জানেন। বাইরে সবার সাথে যেমন মজা করেন, দলে তার চেয়ে বেশি ছাড়া কম করেন না। ওনার সবচেয়ে বড় গুণ হলো, যে কারো মন খারাপ ভালো হয়ে যায়, ওনার কাছে থাকলে। ড্রেসিংরুমে, ছোট-বড় সবার সাথেই সমান দুষ্টুমি করতে পারেন। আমার ক্ষেত্রে একটা মজা হলো, মাশরাফি ভাইয়ের সাথে ড্রেসিংরুমে দেখা হওয়ার পর আমার একবারও মনে হয়নি, উনি নতুন কেউ। মনে হয়েছে, অনেক বছর ধরে আমরা একসাথে খেলছি।

সেটা কি নড়াইলে ওই পরিচয়ের কারণে?

খানিকটা। তার চেয়ে বেশি ওনার স্বভাবের কারণে। আমার মনে হয়, ওনার সাথে যারই প্রথম পরিচয় হোক, প্রথমবারেই মনে হবে, অনেক দিনের পরিচয় আছে।

একটা সময় আপনি মাশরাফির ডেপুটি হলেনসাথে সাথে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ল, আপনাকে ক্যাপ্টেনসি করতে হলোরকম অনেকবার হয়েছেএকসময় আপনি বলছিলেন যে, আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন

(হাসি) প্রস্তুত থাকি মানে, ওনার ইনজুরি হোক, সে জন্য না। কিন্তু এত ঘন ঘন হচ্ছিল, সব সময় এই শঙ্কাটা থাকত যে, উনি ইনজুরিতে পড়তে পারেন। ওনাকে ডাইভ দিতে দেখলেই ভয় লাগত। মনে হতো, পরের বল থেকেই আবার আমাকে ক্যাপ্টেনসি করতে হবে। সেটাই বলেছিলাম মনে হয়।

এই যে হঠাৎ হঠাৎ অধিনায়কত্ব পেয়ে যেতেন, মনে হতো না যে, এটা আমার দল নয়? মাশরাফির দল

নাহ। আমি তখনো বলেছি, এখনো বলছি, আমি মনে করতাম, উনিই যোগ্য অধিনায়ক। দল ওনারই চালানোর কথা। আমি জাস্ট ওনার কাজটা করে দিচ্ছি। আমি ক্যাপ্টেনসি পেতে হবে, এভাবে কখনো ভাবিনি। ফলে ও রকম মনে হওয়ার সুযোগই নেই। আমি জানতাম যে, মাশরাফি ভাই-ই সেরা অধিনায়ক। তখনো আমি মিডিয়ায় এ কথা বলেছি।

পরে তো মাশরাফি আপনার ক্যাপ্টেনসিতে খেলেছেওতখন সমস্যা হয়নি যে, আমারই সাবেক ক্যাপ্টেনকে এখন সামলাতে হবে...

সামলানোর তো কিছু নেই (হাসি)। ওনাকে আমার সামলাতে হবে কেন? আর আমি একটা কথা বলি, ক্যাপ্টেন-ট্যাপ্টেন ব্যাপারগুলোকে বাইরে থেকে কেমন যেন মনে হয়। আমাদের দলে অমন কিছু নেই। আমি ক্যাপ্টেন, মাশরাফি ভাই একজন খেলোয়াড়; এতে এক মুহূর্তের জন্যও আমাদের সম্পর্ক বদলায়নি। আমি ওনাকে বড় ভাই মনে করতাম আগেও, তখনো তাই করেছি। উনি আগেও আমাকে যা বলতেন, তখনো তাই বলতেন। ক্যাপ্টেন জাস্ট একটা দায়িত্ব; এর চেয়ে বেশি কিছু তো ছিল না।

ক্যাপ্টেন মাশরাফির প্রসঙ্গে পরে শুনবআগে একটু বলেন, এই যে আবার সেই মাশরাফির ডেপুটি হলেন, এটা মেনে নিলেন কী করে? আপনি একজন সাবেক অধিনায়কআরেকজন সাবেক অধিনায়কের ডেপুটি হওয়াটা কি মাশরাফি বলেই মেনে নিলেন?

হুম... (ভাবছেন)। এটা বলা মুশকিল। আসলে বললাম না, আমি এভাবে ভাবি না। মাশরাফি ভাইয়ের ডেপুটি তো আমি হতেই পারি। আমি তো আগেও সেটা ছিলাম। ফলে আমাকে যখন বলা হলো, আমার কাছে এটা স্বাভাবিক মনে হয়েছে। ওনার ডেপুটি হওয়ার কথা আমার। আমার তাই মনে হয়েছে। আমি ওনার ক্যাপ্টেন ছিলাম বলে আর কখনো ডেপুটি হব না, এমন কিছু তো নাই। আমি ওনার সাথে ভালো কাজ করতে পারি। উনি ভালো বোঝেন ব্যাপারটা। ফলে আপত্তির কোনো সুযোগ তো নেই।

আরেকটু কঠিন করি প্রশ্নটামাশরাফি ছাড়া অন্য কারো ডেপুটি হতে বললে কি মানতেন?

(হাসি) এমন প্রস্তাব তো আসেনি। তাহলে ভাবব কেন? জীবন এত জটিল করে লাভ নেই। আমি এই ভ’মিকাটা এনজয় করছি। ফলে এটা ঠিক আছে।

ওকেএর মধ্যেও দুটো ম্যাচে আপনাকে ক্যাপ্টেনসি করতে হয়েছেসেই আগের মতোরকম স্টপ গ্যাপ ক্যাপ্টেনসির ক্ষেত্রে নিজের চিন্তাই থাকে? নাকি মাশরাফির প্রক্সি দিতে হয়?

আমাদের দলে সবাই নিজের চিন্তা করার সুযোগ পায়। আমি ক্যাপ্টেন না থাকলেও মাঠে নিজে ক্যাপ্টেন হিসেবে যা ভাবতাম, সেভাবে ভাবি। প্রয়োজন হলেই মাশরাফি ভাইকে বলি। দেখেন, একটা ব্যাপার সহজ করে দিই। ক্যাপ্টেনসির কঠিন সময়গুলোতে কোনো ক্যাপ্টেন কিন্তু একা সিদ্ধান্ত নেয় না। তার একটা সিনিয়র কোর গ্রুপ থাকে। সে আমাদের ডাকে। আলোচনা করে। হ্যাঁ, শেষমেশ হয়তো সেই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এটা সবাই মিলে একটা ব্যাপার।

এবার একটু মূল্যায়ন করেন। মাশরাফি কেমন মানুষ?

ওয়ান অব দ্য গ্রেটেস্ট মোটিভেটর। যেকোনো পরিস্থিতিতে একটা দলকে, পুরো একটা গ্রুপকে কীভাবে চাঙা করে তোলা যায়, ওনার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। ওনার আশপাশে থাকা মানেই, আপনাকে উনি ফুরফুরে করে রাখবেন।

অধিনায়ক হিসেবে কেমন?

যা বললাম, সেটা আসলে ক্যাপ্টেনসির সেরা বৈশিষ্ট্য। আপনি যদি দলকে সবসময় মোটিভেটেড রাখতে পারেন, মাঠে গিয়ে নিজের সেরা পারফরম করতে উৎসাহ দিতে পারেন; আর কী চাই! উনি যে কারো সেরাটা বের করে আনতে পারেন। দলগতভাবে যেমন পারেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেককে আলাদাভাবে ইনস্পায়ার করতে পারেন।

অনফিল্ড? অনফিল্ড ক্যাপ্টেনসিতে কে ভালো-সাকিব, নাকি মাশরাফি?

অনফিল্ড ক্যাপ্টেনসি ব্যাপারটার ভালো-মন্দ বিচার করাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় না। প্রত্যেক ক্যাপ্টেনই তো প্রতিটি সিদ্ধান্ত দলের ভালোর জন্য নেয়। আমি মনে হয় এটা আপনাকে আগেও বলেছি। একটা ক্যাপ্টেন একটা বোলারকে আনল, সে পিটুনি খেলে মনে হবে খারাপ সিদ্ধান্ত। আবার সেই যদি উইকেট পায়, মনে হবে দারুণ ক্যাপ্টেনসি। এটা আসলে অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। আর এই পর্যায়ে একজন সিনিয়র ক্রিকেটার, কেউ কারো চেয়ে ক্রিকেট ম্যাচ কম বোঝে, তা মনে হয় না। আরেকটা ব্যাপার হলো, মাঠে আমরা সবাই অনেক বেশি অ্যাকটিভ থাকি। ফলে আমি বা মাশরাফি ভাই বা মুশফিক ভাই, সবার ক্যাপ্টেনসিতে সবার অবদান থাকে।

কঠিন একটা প্রশ্ন-মাশরাফি আসলে কতটা ভালো ক্রিকেটার?

মানে!

মানে, মাশরাফি তো একটা মিথসে উইকেট না পেলেও মিথতার আচরণ, তার ক্যাপ্টেনসি, তার ইনজুরি মিলিয়ে বিরাট একটা মিথআসলে কি অত ভালো ক্রিকেটার?

এই কথার কী উত্তর দেব! বোলার কৌশিক ভাইয়ের কথা বাদ দেন। ব্যাটসম্যান মাশরাফির কথা ভাবেন শুধু। বাংলাদেশের হয়ে কত রান করেছেন উনি? হাজার দেড়েক। এই দেড় হাজার রান দিয়ে উনি বাংলাদেশকে যে কয়টা ম্যাচ জিতিয়েছেন, তা আমরা তিন-চার হাজার রান করে করতে পারিনি। ওনার ১৫ রান মানেই ম্যাচে আমরা এগিয়ে গেলাম। শোনেন, একটা কথা বলি। কৌশিক ভাই নিজেকে নিয়ে খামখেয়ালি না করলে সে থাকত বিশ্বের  সেরা অলরাউন্ডার। কৌশিক ভাই কত বড় অলরাউন্ডার হতে পারতেন, উনি নিজেও জানেন না।

সুমন ভাইয়ের (হাবিবুল বাশার) সাথে কথা বললাম, তিনিও দেখলাম অলরাউন্ডার মাশরাফিকে নিয়ে আফসোস করছেন

করারই কথা। আমরা তো ওনার ব্যাটিং সম্পর্কে জানি। ওনার অ্যাবিলিটি সম্পর্কে জানি। আমি অবশ্য আফসোস করছি না। আমি বলছি, ব্যাটেই ওনার যে অবদান আছে, শুধু তারপরই ওনাকে নিয়ে মিথ বিষয়ক আলোচনা আর থাকতে পারে না।

বোলার হিসেবে? বোলার মাশরাফির অবদান কী?

বোলার হিসেবে ওনার অবদান দুই রকম। একটা তো আছে, উনি আমাদের একটা সময় অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। বহু ম্যাচ আছে, যেটা আমরা অন্য কারো ওপর ভর করে জিতেছি, কিন্তু শুরুর ব্রেক থ্রুটা উনি এনে দিয়েছেন। বোলার হিসেবে তো লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিচ্ছেন। আমি টেকনিক্যালিও ওনাকে অনেক বড় বোলার মনে করি। ওনার মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, একেবারে সঠিক জায়গায় বল করা, কাট করানো, সুইং করানো; এগুলো অসাধারণ। আরেকটা ব্যাপার হলো, বোলার হিসেবে কিন্তু ওনাকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। ইনজুরি খুব ভুগিয়েছে। ইনজুরিতে বড় বড় সময় বাইরে তো ছিলেনই। পাশাপাশি ইনজুরির পর রিদমে ফিরতে সময় লেগেছে। তবে এসবের চেয়ে আমি বড় করে দেখি, বাংলাদেশের ক্রিকেটেই উনি বোলার হিসেবে একটা নতুন চিন্তা তৈরি করতে পেরেছেন।

সেটা কেমন?

একটা উদাহরণ নেন। এখন গিয়ে জাতীয় দলের যেকোনো ফাস্ট বোলারকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার আদর্শ বোলার কে? এই তাসকিন, রুবেল, মুস্তাফিজ, আল আমিন; এদের সবার আদর্শ দেখবেন মাশরাফি ভাই। এর বাইরেও যত ফাস্ট বোলার আপনি গত দশ বছরে দেখতে পাবেন, সবার আদর্শ মাশরাফি ভাই। এটা এমনি এমনি হয়নি। বাংলাদেশ ফাস্ট বোলিং করার জন্য একেবারে ভালো জায়গা না। এখানে কন্ডিশন আপনার পক্ষে না। উইকেট থেকে এক ফোঁটা হেল্প পাবেন না। দলগুলোতেও ফাস্ট বোলারদের কোনো দাম নেই। ফলে এখানে হলে সবাই ব্যাটসম্যান বা স্পিনার হয়। সেই রকম একটা জায়গায় মাশরাফি ভাই হিরো হওয়াতে এই ছেলেগুলোকে আপনি পেলেন। আমি মাশরাফি ভাইয়ের বাংলাদেশে অবদান দেখি এসবগুলোকে যোগ করে। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ তিন-চারটে পেসার নিয়ে খেলতে পারছে; সে রকম পেসার তৈরি হয়েছে। এর চেয়ে বড় অবদান একটা মানুষের জীবনে আর কী আশা করা যায়?

আচ্ছাআমরা প্রায় শেষ করে ফেলেছিআপনার আর মাশরাফির সম্পর্কের কথা বলেনএখন দুজনের সম্পর্ক কেমন?

বাকিদের সাথে যেমন, তেমনই (হাসি)।

নাশুনলাম, আপনি নাকি একান্ত কিছু আলাপ কেবল মাশরাফির সাথেই করেন?

সেটা তো বলা যাবে না (হাসি)। সত্যি বলি? আমি ব্যক্তিগত ব্যাপার-স্যাপার বেশি একটা কারো সাথে আলাপ করি না। ওনার সাথে একটু করি। আবার জিজ্ঞেস কইরেন না, কেন করি। এমনিই করি। আলাপ করে মজা পাই, তাই করি। আরও অনেক আলাপ করি, সব বলা যাবে না। কিছু কথা পরে বলব।

সূত্র: খেলাধুলা সংবাদ

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer