ঢাকা : ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক, কমিউনিস্ট নেতা কমরেড সত্য মৈত্র`র অবস্থা সংকটাপন্ন। দীর্ঘদিন তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
গত ৯ জানুয়ারি পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে গেলে তাঁর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। বর্তমানে তিনি মগবাজারস্থ ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সত্য মৈত্র ১৯২৩ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি তৎকালীন ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ৮ম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন এবং সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৪০ সালে মেট্রিক পাস করে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হওয়ার মাত্র ১১ দিনের মাথায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলখানায় তিনি বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতাদের সংস্পর্শে আসেন এবং মার্কসবাদী শিক্ষা নিয়ে কমিউনিস্ট হিসেবে বেরিয়ে আসেন। এরপর থেকে অদ্যাবধি তিনি কমিউনিস্ট রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন। ১৯৪৩ সালে তিনি অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন।
ভারত বিভক্তির পর তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন ভারতে চলে গেলেও তিনি এদেশ ছেড়ে যাননি। কমিউনিস্ট পার্টির দীর্ঘ সংগ্রাম ও বিতর্কে তিনি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী (এম. এল) ধারায় যুক্ত থেকেছেন।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ১৯ বছর জেলে কাটিয়েছেন। তাঁর জেল জীবন ও রাজনীতিতে সাহচার্য পেয়েছেন এবং একইসঙ্গে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে বিখ্যাত শ্যামল ভট্টাচার্য, অনুকূল লাহিড়ী, অনীল লাহিড়ী, অমল স্যান্যাল, মন্টু ভাদুড়ী, প্রভাত ভাদুড়ী, অবনী লাহিড়ী, মওলানা ভাসানী, জ্যোতি বসু, চারু মজুমদার, শেখ মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ তোয়াহা, সুখেন্দু দস্তিদার, আব্দুল হক প্রমুখ।
জমিদার পরিবারের সন্তান ৯৭ বছর বয়সী কমরেড সত্য মৈত্র আজও বিশ্বাস করেন শোষণহীন সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবেই।