ঢাকা : কলম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্রাজিলের একটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মরদেহ তাদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো এসব কফিন সামরিক বাহিনীর দুটো বিমানে করে নিয়ে আসা হয়েছে দক্ষিণ ব্রাজিলের শাপেকো শহরে।
এই শহরেরই একটি ফুটবল ক্লাব শাপেকোয়েন্সে উত্তর অ্যামেরিকার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে যাওয়ার সময় পথে সোমবার মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ক্লাবটির বেশিরভাগ খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাই মারা গেছেন।
মরদেহ বহনকারী কফিনগুলো ব্রাজিলে গিয়ে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট মিশেল টেমের তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এসময় তাদেরকে মরণোত্তর সম্মানও দেওয়া হয়। সংবাদদাতারা বলছেন, এসময় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি।
তীব্র বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করেও হাজার হাজার মানুষ তাদের প্রিয় খেলোয়াড়দের শেষ বিদায় জানাতে শহরের ফুটবল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। এসময় তারা ক্লাবের শাদা ও সবুজ রঙের জার্সির সাথে মিলিয়ে পোশাক পরে এসেছেন।
এই দুর্ঘটনায় মোট ৭৬ জন মারা গেছেন। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন মাত্র ছ`জন। নিহতদের ১৯ জনই ফুটবলার। বাকিরা ছিলেন ক্লাবের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
অনেক সাংবাদিকও সেই বিমানে ছিলেন ফাইনাল ম্যাচ কাভার করতে। তারাও দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
এই দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে শাপেকোয়েন্সে নামের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাবটি মোটামুটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে মরদেহগুলোকে যখন কলম্বিয়ার মেদেইন শহরের এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখনও সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দু`পাশে দাঁড়িয়ে নিহতদের প্রতি তাদের শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিমানে জ্বালানী ফুরিয়ে গেছে বলে পাইলট জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
বিবিসি বাংলা