ছবি: বহুমাত্রিক.কম
রংপুর : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী কোন ব্যাংক না থাকা এবং অস্থায়ী ব্যাংক বুথের অব্যবস্থাপনার কারণে ভর্তি ও ফরম পূরণের ফি জমা দিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এই ভোগান্তির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নয় বছরেও ক্যাম্পাসে স্থায়ী ব্যাংক স্থাপন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিন গেইট সংলগ্ন নিচ তলার ডান দিকের একটি কক্ষে জনতা ব্যাংক লালবাগ শাখার একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি অস্থায়ী ব্যাংক বুথ কাজ করে। ওই কক্ষের জানালা দিয়ে টাকা ও রসিদ বিনিময় করেন ব্যাংক কর্মকর্তা।
একজন কর্মকর্তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি বিভাগের প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ফরম পূরণের ফি গ্রহণ ও রসিদ প্রদান করেন। ফলে ব্যাংকবুথের সামনে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে দীর্ঘসময় পর ফি জমা দিতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকবুথের সামনে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন ও জটলা চোখে পরে।
সোমবার সকালেও ব্যাংকবুথের সামনে শিক্ষার্থীদের জটলা দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অর্থনীতি, মার্কেটিং, ফাইন্যান্স এ্যন্ড ব্যাংকিং, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফরম পূরণ ও পরিসংখ্যান বিভাগের ভর্তি চলছিল। ৫ বিভাগের প্রায় তিন’শ শিক্ষার্থী ব্যাংকবুথে টাকা জমা দেয়ার চেষ্ঠা করছিল। এসময় অনেক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ সময় পর টাকা জমা দিয়ে বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়।
ফাইন্যান্স এ্যন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জানান, ১ জন কর্মকর্তা সবার ফি গ্রহণ করছেন। এতে সময় বেশি লাগছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এখানে কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি থাকলে অল্প সময়েই কাজ হয়ে যেত।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল বলেন, ফি জমা দিতে এসে প্রতিবারই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। দুপুর দেড়টার মধ্যে ব্যাংকবুথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সব শিক্ষার্থীরা এই সময়ে ভীড় জমায়। ক্যাম্পাসে স্থায়ী ব্যাংক থাকলে বা ব্যাংববুথ বেশি থাকলে আমাদের এই ভোগান্তির শিকার হতে হতনা।
ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েকটি বিভাগ একসাথে ভর্তিও তারিখ ঘোষণা করলে মাঝে মাঝে জটলা বাঁধে। তবে ব্যাংকবুথের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
বহুমাত্রিক.কম