ছবি : বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
বেঙ্গল বই-এ নিয়মিত পাঠচক্র, কবিতা পাঠের আসর, নতুন লেখা ও লেখকের সঙ্গে পরিচিতিমূলক সভা, প্রকাশনা উৎসব, চিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানারকম সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ধারাবাহিকতায় বেঙ্গল বই এবার পহেলা ফাল্গুন এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপী ফাগুন সমীরণে ও ভালোবাসার গল্প উৎসব আয়োজন করেছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় সানিডেইল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল কবিতা, সংগীত এবং নৃত্য। সানিডেইল স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রথমে সমবেতভাবে গান ও নৃত্য পরিবেশন করে কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ রচিত বিশ্ববীণা রবে বিশ্বজন।
এরপর ক্ষুদে শিল্পিরা সুকুমার রায়ের সৎ পাত্র ও নারদ নারদ আবৃতি করে।এরপর সমবেত কণ্ঠে কবি গুরুর দখিন হওয়া জাগো জাগো। এরপর সমবেত কণ্ঠে একে একে ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান, সব দিবি কে সব দিবি পায়, মোরা নাচি ফুলে ফুলে দুলে দুলে, আজি দোল ফাগুনের দোল লেগেছে, রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো।
এরপরেই মঞ্চে আসে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ঝিনাইদহের নাট্যগোষ্ঠী দিশারী। দিশারী নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ছিল যাত্রাপালা অনুসন্ধান। যাত্রাপালাটির গল্পকার রঞ্জন দেবনাথ, পরিচালনায় ছিলেন বাবু গোবিন্দ পাল।
ভালোবাসার গল্প ও গান
১৪ তারিখ থাকছে ভালোবাসার গল্প ও গান। বিশেষ এই দিনে নিজেদের ভালোবাসার গল্প বলবেন শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল ও কল্পনা আনাম, ডাঃ শাকিল আখতার ও আফসানা করিম এবং স্থপতি নিশাত আরা খন্দকার ও জাফর ইকবাল দম্পতি। এছাড়াও থাকছে ভালোবাসার গান। পরিবেশন করবেন শিল্পী তানজিনা করিম স্বরলিপি ও মফিজুর রহমান।
বেঙ্গল বই এর দোতলা ও তিনতলাজুড়ে আছে দেশি-বিদেশি বই। নিচতলায় সব শ্রেণির পাঠকের জন্য আছে পুরনো বই ও ম্যাগাজিন, সঙ্গে চা। দোতলায় নিভৃতে বসে বই পড়ার জন্য রয়েছে আধুনিক ক্যাফে। বারান্দায় বসে কফি খেতে খেতে গল্প করা যাবে।
প্রবীণদের জন্য রয়েছে বইয়ে বিশেষ ছাড় এবং বাগানে বসে আড্ডা দেওয়ার পরিবেশ।ভবনের তিনতলার প্রায় পুরোটাই শিশুদের জন্য। শিশুবান্ধব পরিবেশে বইপড়া ছাড়াও গল্পবলা, আবৃত্তি, ছবি দেখা ও আঁকাআঁকির মধ্য দিয়ে শিশুদের স্বপ্ন ও কল্পনার জগৎ লালিত হবে এ প্রত্যাশা আমাদের। এখানে বইয়ের পাশাপাশি থাকছে লেখাপড়ায় সহায়ক নানা আকর্ষণীয় সামগ্রী।