ঢাকা : দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনায় আনা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।
বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য রোববারের কার্যতালিকায় মামলাটি ২০ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে। এর আগে এ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়। হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি জানান, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেয় বিচারিক আদালত।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিতরা হলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২১ আসামির মধ্যে ৮ জন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মম খুনের শিকার হন দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাস। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পুরান ঢাকার শাখারীবাজারে বিশ্বজিতের দর্জি দোকান ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।
