ঢাকা : রোববার বিকালে বসছে দেশীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এর ৪১তম আসর। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্য থেকে বিজয়ীদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা ও ফারুক।
পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত শিল্পী-কলাকুশলীদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট, মেডেল ও চেক তুলে দেওয়া হবে। থাকছে জমকালো আনুষ্ঠানিকতাও। পুরো অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে আছে বিএফডিসি।
আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে বরাবরের মতোই থাকছে জাঁকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর এতে নাচে অংশ নেবেন চলচ্চিত্রের পাঁচ জুটি। থাকছে গান ও বাদ্য পরিবেশনা।অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
আজীবন সম্মাননা: যৌথভাবে পাচ্ছেন চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তি ববিতা ও ফারুক।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: অজ্ঞাতনামা, প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ঘ্রাণ, প্রযোজক এস এম কামরুল আহসান।
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: জন্মসাথী, প্রযোজক একাত্তর মিডিয়া লি: ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক: অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র: চঞ্চল চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র: যৌথভাবে তিশা, ছবি- অস্তিত্ব ও কুসুম শিকদার, ছবি- শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেতা: যৌথভাবে আলীরাজ, ছবি- পুড়ে যায় মন ও ফজলুর রহমান বাবু, ছবি- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেত্রী: তানিয়া আহমেদ, কৃষ্ণপক্ষ।
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা: শহীদুজ্জামান সেলিম, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ গায়ক: ওয়াকিল আহমেদ, ছবি- দর্পণ বিসর্জন, গান- অমৃত মেঘের বারি।
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মেহের আফরোজ শাওন, ছবি- কৃষ্ণপক্ষ, গান- যদি মন কাঁদে।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ছবি- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ সুরকার: ইমন সাহা, গান- বিধিরে ও বিধি।
১৯৭৫ সাল থেকে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রথম আজীবন সম্মাননা পুরস্কার চালু করা হয়।