ঢাকা : ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) আর্থিক সহায়তায় পল্লী এলাকায় গৃহঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)।
কৃষি জমি সুরক্ষায় গ্রামে বহুতল ভবন নির্মাণ করে সেখানে একাধিক পরিবারের আবাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইডিবি সহজ শর্তে বিএইচবিএফসিকে ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যে আইডিবি এই অর্থ ছাড় করবে বলে আশা করছে বিএইচবিএফসি।
এ প্রসঙ্গে বিএইচবিএফসির চেয়ারম্যান শেখ আমিনউদ্দিন আহমেদ বাসসকে বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন চাহিতা মেটাতে গ্রামীণ এলাকায় যত্রতত্র নির্মিত হচ্ছে নতুন বাড়ি-ঘর। এতে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আবাদী জমি। এ অবস্থা থেকে কৃষি জমি রক্ষায় পল্লী এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,বিএইচবিএফসির মূলধন স্বল্পতা থাকার কারণে আমরা এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আইডিবি ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে সহজ শর্তের ঋণ আবেদন করেছি। এতে আইডিবি ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে।
আইডিবির এই ঋণের পরিবর্তে সরকার সংস্থাটিকে সভরেন গ্যারান্টি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।
আগামী জুন মাসের আগেই আইডিবি ঋণের অর্থ ছাড় করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আমিনউদ্দিন।
তিনি বলেন, আইডিবির পাশাপাশি এডিবিও বিএইচবিএফসিকে ঋণ দিতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। এডিবির ঋণ পেলে সেই অর্থ গ্রাম ও শহর দু’জায়গায় বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
সরল সুদে গৃহঋণ প্রদানকারী দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিএইচবিএফসি চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১১৮ কোটি ৬ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ঋণ মঞ্জুরের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং আদায় হয়েছে ২৪৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
গত ছয় মাসে করপোরেশনের মোট আয় হয়েছে ১৩৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
আমিনউদ্দিন আহমেদ বলেন,সেবাধর্মী মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উজ্জীবিত করছি। তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে বিএইচবিএফসির ঋণ সেবার মানও বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মাঠ পর্যায়ের শাখাগুলোর কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্দ-ঋণ সঞ্চিতি খাতে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কোন প্রভিশন ঘাটতি নেই।
