ঢাকা : সরকারি চাকরিতে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সোমবার বিকালে জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
বিকাল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে যোগদানের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জানতে চান বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ করা হবে কিনা।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।’
সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে।
ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ফলে সাধারণ প্রার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও সরকারি চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা বিবেচনায় নেয়া হয় না।