বগুড়া : ঈদুল ফিতরের ছুটি চলছে দেশের সব স্কুলে। কিন্তু তাতে অসুবিধা কি ? লেখাপড়া করতে হয় নিজস্ব উদ্যোগে, নিজ প্রচেষ্টায়। যাকে বলে স্বশিক্ষিত। তাছাড়া গরীব পিতা। লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে হবে। দুর করতে হবে বাবা-মায়ের সকল দুঃখ, অভাব অনটন।
এমন মানসিকতা নিয়ে লেখাপাড়ায় উদ্যোমী শিশু জাকির (১৩)। সে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর সরদার পাড়ার মোখলেছার রহমানের ছেলে। লেখাপড়ায় মনোযোগী জাকির নিয়মিত প্রাইভেট পড়তো।
এরই ধানাবাহিকতায় শনিবার সকালে জাকির প্রাইভেট পড়তে বাড়ী থেকে রওনা দেয় কোচিং সেন্টারে। কিন্তু বিধি বাম। রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যেতেই পিছন দিক থেকে একটি বেপরোয়া ট্রাক জাকিরকে চাপা দিয়ে নিভিয়ে দেয় জীবন প্রদীপ। হলোনা জাকিরের প্রাইভেট পড়া। পুরণ হলো না গরীব পিতমাতার সোনালী স্বপ্ন।
জাকিরের অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা তার মা-বাবা। তাদের একটাই কথা কোথায় আমার আদরের বাছাধন। গ্রামবাসীর একটাই কথা- পরিবহন সেক্টরে এমন অদক্ষ চালক দিয়ে আর কত প্রাণ হরণ। আর কত মা-বাবার বুক খালি করলে সড়ক পথের নৈরাজ্য থামবে ? কিন্তু সন্তানহারা এসব গরীব অসহায় পিতামাতার আর্তনাদ শুনবে কে ?
তবে স্পর্শকাতর এই দুর্ঘটনায় দৃষ্টি এড়ায়নি প্রশাসনেরও। শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল জানান, ছেলেটি রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে গেলেও বেপরোয়া ঘাতক ট্রাক পিছন দিক থেকে এসে জাকিরকে চাপা দেয় এবং ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হয়। ট্রাকিটি আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাই যাতায়াত নিরাপদ করতে নেশাখোরমুক্ত দক্ষ চালক দিয়ে পরিবহন চালনা করা একান্ত প্রয়োজন।
বহুমাত্রিক.কম