ছবি : বহুমাত্রিক.কম
ময়মনসিংহ : প্রতিবছর ব্রয়লারের প্যারেন্ট মুরগির আমদানী করতে ব্যয় হয় প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এখন আর ওই প্যারেন্ট মুরগি আমদানি করতে হবে না। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকরা দেশী মুরগি জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন।
উৎপন্ন এই জাতের মুরগী স্বাদ হবে দেশী মুরগির মতই। উদ্ভাবিত জাত দুইটির নাম রাখা হয়েছে বাউ-ব্রো হোয়াইট ও বাউ-ব্রো কালার। জাত দুটি উদ্ভাবিত করেছেন অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্যা।
রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ও দেশী আবহাওয়ার উপযোগী হওয়ায় জাত দুটির সম্প্রসারণ ও বিপণনের ওপর এক কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকাল ১০ টার দিকে পশুপালন অনুষদের ডিন সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, বিশেষ অতিথি কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) ড. কাজী এম. কমরউদ্দিন ও বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, বাজারে ব্রয়লারের স্বাদ কারণে অনেকেই খেতে চায় না। মাংস নরম হওয়ার কারণে রান্নায় সমস্যা পড়ত। মাংস শক্ত ও স্বাদ দেশী মুরগির মত হওয়ার এটা অনেকেই খেতে পছন্দ করে। এটি যদি সরকারের নীতি নির্ধারকরা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করেন তাহলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ হবে। এতে খামারী, শিÿক ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন।
বহুমাত্রিক.কম