Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১০ ১৪৩১, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাকৃবি গবেষকদের সাফল্য: সুপার ওভুলেশনে ২৫-৩০টি ভ্রুণ উৎপাদন

মো: আউয়াল মিয়া, বাকৃবি প্র্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ৪ মে ২০১৭

আপডেট: ১৪:৩৮, ৪ মে ২০১৭

প্রিন্ট:

বাকৃবি গবেষকদের সাফল্য: সুপার ওভুলেশনে ২৫-৩০টি ভ্রুণ উৎপাদন

ছবি : বহুমাত্রিক.কম

ময়মনসিংহ : সুপার ওভুলেশনের মাধ্যমে গবাদি পশুর বছরে ২৫-৩০ টি ভ্রুণ উৎপাদন করা সম্ভব। এমনকি হিমায়িত করে ভ্রুণও সংরক্ষণ করা সম্ভব। সেই ভ্রুণ ভেড়ার বাচ্চা উৎপাদন করা হয়েছে।

সম্প্রতি ভেড়ার ভ্রুণ উৎপাদন, সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও বাচ্চা প্র্রসবের সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদন গবেষক। এতে করে বছরে ৮ থেকে ১০টি বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানান তারা। ভ্রুণ থেকে বাচ্চা প্র্রসবের ঘটনা এটিই বাংলাদেশে প্র্রথম।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট (হেকেপ) প্রজেক্টের মাধ্যমে বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগ কাজ শুরু করে। দেশে কৃত্রিম প্র্রজনেনর ব্যবস্থা থাকলেও তা নানা কারণে আশানুরুপ নয়। তাই স্বল্পসময়ে মান সম্পন্ন অধিক বাচ্চা উৎপ্রাদনের জন্য কাজ করছে প্র্রকল্পটি।

প্র্রকল্পের প্র্রধান গবেষক ড. নাছরিন সুলতানা জুয়েনা ও সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী। এতে তিনজন প্রিএইচডি গবেষক ও বেশ কয়েকজন মাস্টার্স শিক্ষার্থীরাও সহযোগিতা করছেন। দীর্ঘদিনের এ গবেষণায় গত সোমাবার রাতে ভ্রুণ প্র্রতিস্থাপনের একটি ভেড়ার দুটি শাবক জন্ম দেয়।

এ বিষয়ে প্র্রধান গবেষক ড. নাছরিন সুলতানা জুয়েনা জানান, সাধারণত গাভী এবং ভেড়া বছরে একটি মাত্র বাচ্চা প্রসব করতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় উন্নতজাতের গাভী এবং ভেড়া থেকে সুপার ওভুলেশনের মাধ্যমে বছরে ২৫ থেকে ৩০টি ভ্রূণ উৎপাদন করা সম্ভব। ভেড়ার ভ্রূণ সংরক্ষণ করে এখন বছরে ৮ থেকে ১০টি বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

এই প্রকল্পের অর্থায়নে রিসার্চ অ্যানিমেল ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে উন্নত জাতের গাভী, ষাঁড়, ভেড়ার সিমেন সংগ্রহ করে গবেষণা করা হচ্ছে। ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের ফলে গরু অথবা ভেড়ার বাচ্চা উৎপাদন এবং এর দুধ, মাংস ও চামড়ায় বিপ্লব ঘটবে। এতে আর্থিকভাবে কয়েকগুণ বেশি লাভবান হবেন দরিদ্র চাষি ও মাঠ পর্যায়ের পালনকারীসহ বাণিজ্যিক খামারিরা।

একই বিষয়ে প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ড. ফারদা ইয়াসমিন বারী বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ভ্রূণ সংরক্ষণ হয়েছে। এতে কৃষকরা প্রয়োজন মতো ভ্রূণ সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপন করে গবাদি পশুর মানসম্মত কৃত্রিম প্রজনন নিশ্চিত করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে স্থায়ী সিমেন ও ভ্রূণ ব্যাংকও তৈরি করা হচ্ছে।

প্রকল্পের পিএইচডি ফেলো মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, হিমায়িত ভ্রুণের মাধ্যমে কাঙ্খিত জাতের গবাদি পশু পাওয়া যায়। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer